মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ব্যুরো প্রধান বান্দরবান:
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন বান্দরবানে হামলার ঘটনায় কারো যদি কোন গাফিলতি থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোন ধরনের অস্ত্রধারী বা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কর্মকাণ্ড বরদাস্ত করা হবে না। সন্ত্রাসী তৎপরতা দমনে অন্যান্য বাহিনী গুলোর শক্তি বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন আমরা জনগণের সরকার। জনগণ চাইলে সংলাপ চালিয়ে যেতে আপত্তি নেই। আজ শনিবার দুপুরে বান্দরবান সার্কিট হাউসে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক এক মত বিনিময় সভার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এই কথা বলেন।
এ সময় তার সাথে পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা, বান্দরবানের সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উশৈসিং, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয় সচিব মুস্তাফিজুর রহমান, সচিব আবদুল্লাহ আল মামুন, সহ বিজিবি র্যাব ও আনসার বাহিনীর মহাপরচালকসহ প্রশাসন সামরিক বেসামরিক বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন মূলত সন্ত্রাসীরা তাদের শক্তি ও অবস্থান জানান দেওয়ার জন্যই এ হামলাগুলো চালিয়েছে। সন্ত্রাসী তৎপরতা দমনে সামরিক বাহিনী অভিযানে নামার আগে অন্যান্য বাহিনী গুলো তাদের কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন পর্যটনের একটি অপার সম্ভাবনা এবং সম্প্রীতির জায়গা ছিল বান্দরবান। কিন্তু হঠাৎ করে সন্ত্রাসী বাহিনীর তৎপরতায় এই এলাকা অস্থির হয়ে উঠেছে। যেকোনো মূল্যে এসব সন্ত্রাসী প্রথা বন্ধ করা হবে।
এদিকে এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বান্দরবানের রুমা উপজেলা কমপ্লেক্স ও সোনালী ব্যাংক পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন। উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার রাতে রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে কুকি চিন নেশনাল ফ্রন্ট কেএনএফ’র সশস্ত্র সদস্যরা হামলা চালিয়ে ১৪ টি অস্ত্র ও চার শতাধিক গোলাবারুদ লুট করে। এর পরের দিনই থানচি বাজারে কৃষি ও সোনালী ব্যাংকে হামলা চালিয়ে প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। পরের দিন রাতে আবারো থানচি বাজারে হামলা চালায় তারা।