• শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:১৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
সাঙ্গু নদীতে নৌকায় ডুবে নারী নিখোঁজ এখনো সন্ধান পাওয়া যায়নি মোল্লাহাটে বিএনপির আহবায়ককে অব্যাহতি দেয়ার প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়িতে এক ঘন্টার জন্য প্রতীকী পুলিশ সুপার হলেন শিশু শিক্ষার্থী নূর ইসরাত জাহান প্রবারণা পূর্ণিমাকে ঘিরে চলছে উৎসবের আমেজ লামায় ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে অসহায় জায়গার মালিকের যত অভিযোগ বান্দরবানে এবারো এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে কোয়ান্টাম কসমো কলেজ প্রথম কাপ্তাই মা সীতা দেবী মন্দিরে হাতির আক্রমনে ক্ষতিগ্রস্ত রান্না ঘর ও বাগান নবীনগর নিখোঁজ গৃহবধূর সন্ধান চেয়ে সংবাদ সম্মেলন! সাজেকে ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়ি ও বাঙ্গালী পরিবারের মাঝে সেনাবাহিনীর আর্থিক সহায়তা প্রদান মানিকছড়িতে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম হাতে-কলমে অক্ষর শিখছে শিশুরা প্রবারণা উৎসবে মানিকছড়িতে অনুদান বিতরণ গুইমারা কলেজের সাফল্য মায়ের ইচ্ছে স্বপ্নপূরণে চিকিৎসক হতে চায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত আশরাফুল

এবার বন্যহাতির আবাসস্থল ধ্বংস করে ইটভাটা !

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ব্যুরো প্রধান, বান্দরবান: / ৮৮৪ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ব্যুরো প্রধান, বান্দরবান:

ধীরে ধীরে ইটভাটার নগরীতে পরিণত হচ্ছে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা উপজেলা। গত কয়েক বছরে বেড়ে বর্তমানে এই উপজেলায় ইটভাটার সংখ্যা ৩৯টি। প্রশাসন ইটভাটা বন্ধে যতই কঠোর হচ্ছে, ততই দিনে দিনে অজ্ঞাত কোন কারণে বেড়ে চলেছে ইটভাটা। ২০১২ সালের পর থেকে পার্বত্য এলাকায় কোন ইটভাটাকে অনুমোদন দেয়নি সরকার। কোন অনুমতি না দেয়া সত্তে¡ কিভাবে নতুন নতুন ইটভাটা গড়ে উঠছে, তার কোন সন্তোষজনক জবাব নেই বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তর, বান্দরবান জেলা ও লামা উপজেলা প্রশাসনের কাছে !

স্কুল-মাদ্রাসা, সবুজ বনাঞ্চল, জনবসতি, পৌরশহর সহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকার পরে এবার অর্ধশতাধিক বন্যহাতির আবাসস্থল ধ্বংস করে গড়ে উঠেছে ইটভাটা। লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বড়ছনখোলা এলাকার পাইকেরছড়া জায়গাটি ছিল এই অঞ্চলের বন্যহাতির আবাসস্থল। স্থানটিতে সারাবছর পানি পাওয়া যায়। হাতির প্রজনন এবং থাকার জন্য সবচেয়ে আদর্শ জায়গা এটি। কিন্তু এখানে গড়ে উঠেছে এডিবি (অউই) নামে একটি ইটভাটা।

সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সবুজ বনের মাঝে গড়ে উঠা এডিবি ইটভাটাটি গত দুইবছরে চারপাশে সবুজ বনাঞ্চল উজাড় ও তিনটি বড় পাহাড় কেটে শেষ করেছে। ইটভাটার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ইসকাটাঝিরিটি দখল করে সেই পানি দিয়ে তৈরি হচ্ছে ইট। শুষ্ক মৌসুমে যা একসময় বন্যহাতি সহ বনের পশুপাখিদের কাজে লাগত। এদিকে ভাটার কালো ধোঁয়া ও গাড়ি চলাচলের কারণে ধূলাবালিতে চারপাশ একাকার হয়ে গেছে। যাতে করে কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বন্যপ্রাণীর বসবাস অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

স্থানীয়রা জানান, এখনো প্রতিরাতে ১৫/২০টি বন্যহাতি ভাটার একটু পূর্বদিকে ইসকাটাঝিরিতে থাকে। ৩/৪টি দলে বিভক্ত হয়ে মোট অর্ধশত হাতির বিচরণ রয়েছে এই এলাকায়। ইটভাটার কালো ধোঁয়া, পাহাড় কাটা, বনাঞ্চল উজাড় ও ইটভাটায় বিদ্যুৎ ব্যবহারের কারণে ওই এলাকায় হাতি অবস্থান করতে পারছেনা। ফলে লোকালয়ে এসে বন্য হাতি গুলো তান্ডব চালাচ্ছে। বাড়ছে মানুষ ও হাতির দ্বন্দ। হাতির জায়গা দখল করে প্রভাবশালীরা ইটভাটা করেছে, হাতি যাবে কোথায় ?

এডিবি ইটভাটার মালিক মোঃ আবচার ও নেজাম উদ্দিন বলেন, আমরা সবাইকে ম্যানেজ করেই ইটভাটা করি। কত দেখলাম ! পারলে আমাদের ভাটা বন্ধ করে দিতে বলেন।

পরিবেশ অধিদপ্তর বান্দরবানের সহকারী পরিচালক মোঃ ফখর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বিষয়টি জানা ছিলনা। শীঘ্রই অবৈধ ইটভাটার বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে। লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শান্তনু কুমার দাশ বলেন, উপজেলা প্রশাসন থেকে ইটভাটার বিষয়ে নিয়মিত অভিযান চলমান রয়েছে। এডিবি ইটভাটা বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ