মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ব্যুরো প্রধান, বান্দরবান
বান্দরবান তুমব্রু সীমান্তে আশ্রয় নেওয়া মায়ানমারের ১০০ বিজিপি সদস্যকে সেখান থেকে সরিয়ে কক্সবাজারের নিহ্লায় নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে বাকিদের স্থানান্তর করা হবে। কড়া পাহারায় বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদের উখিয়ার নীহ্লা স্কুলে নিয়ে গিয়েছে বিজিবি।
এদিকে গত দুদিন ধরে বান্দরবান সীমান্তে সংঘর্ষ বন্ধ থাকায় পরিস্থিতি অনেকটা শান্ত হয়ে এসেছে। নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের তুমব্রু ও ঢেকিবুনিয়া ক্যাম্প দুটি আরাকান আর্মি দখল করে নেওয়ার পর সেখানে এখন গোলাগুলি বন্ধ রয়েছে। ভয় ও আতঙ্কে বান্দরবানের তমরু ও ঘুমধুম সীমান্ত থেকে সরে যাওয়া প্রায় ২শ পরিবারের অধিকাংশই এখন ঘরে ফিরেছে। যে আশ্রয় কেন্দ্রটি খোলা হয়েছিল সেখানে থেকেও লোকজন চলে গিয়েছে। কয়েকদিন বন্ধ থাকা তুমব্রু বাজারটিও এখন খুলেছে।
তবে সীমান্তের ওপারে চলমান সংঘাতের কারণে সেখানে খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ায় বান্দরবান সীমান্ত দিয়ে চাকমা, তঞ্চঙ্গা ও রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। গত এক সপ্তাহে ১শও বেশি চাকমা পরিবারকে আটক করে পুশ ব্যাক করেছে বিজেবি। সীমান্তে গোলাগুলি বন্ধ থাকলেও বাংলাদেশ সীমান্তে কড়া পাহারা দিয়ে যাচ্ছে বিজিবি। সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তের বিজিবির চৌকি গুলোতে সদস্য সংখ্যা ও টহল বাড়ানো হয়েছে। তবে স্থানীয়রা মনে করছেন যেকোনো সময় পরিস্থিতি আবারও খারাপ হতে পারে।
অন্যদিকে উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে ঘুনধুম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রটি সেখান থেকে সরিয়ে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে মায়ানমার থেকে আসা বিজিপির ১৩০ সদস্যকে। বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানিয়েছেন সীমান্ত পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসায় ঘরে ফেরা লোকজনদের প্রশাসন থেকে সার্বিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।