মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ব্যুরো প্রধান, বান্দরবান
শত্রুতার জেরে রাতের আঁধারে তিন কানি জমির তামাক চারা উপড়ে ফেলে মাটি চাপা দিয়েছে আপন মামা। ৪৫ দিন বয়সী বেড়ে উঠা তামাক চারা মাটি চাপা দেয়ার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে সবাই একই কথা বলছে ‘গাছের সাথে এ কেমন শত্রুতা’। চকরিয়া উপজেলার বমু বিলছড়ি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড মাইজপাড়া বিলে সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১২টা থেকে ৪টার মধ্যে কোন এক সময় এই ঘটনা ঘটে। সোমবার সকালে জমিতে তামাক চারায় পানি দিতে গেলে এমন অবস্থা দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে কৃষক মোঃ নজরুল ইসলাম (৩৪)। সে মাইজপাড়া এলাকার মৃত মোঃ বদরুচ্ছমত এর ছেলে।
কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, আমি এই বিষয়ে আপাতত বমু বিলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদে লিখিতভাবে বিচার দিয়েছি। সোমবার সন্ধ্যায় বৈঠক বসার কথা। ন্যায় বিচার না পেলে আমি চকরিয়া থানা বা আদালতে মামলা দায়ের করব। আমাকে মারধর ও তিন কানি জমির তামাক নষ্ট করার জন্য একই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পশ্চিমপাড়ার মৃত নুর মোহাম্মদ এর ছেলে শাহ আলম (৫৫), শাহ আলমের ছেলে আনোয়ার হোসেন, মোঃ আব্দুল্লাহ, মোঃ রুবেল এবং আলী আকবর এর ছেলে আবু সালাম কে আসামী করেছি।
নজরুল ইসলাম আরো বলেন, গত ১৬ ডিসেম্বর শনিবার বেলা ১১টায় আমি পশ্চিমপাড়া রাস্তা দিয়ে রিক্সাযোগে লামা বাজারে যাওয়ার পথে দেশীয় অস্ত্র, লাটিসোটা নিয়ে আমার উপর অতর্কীত হামলা করে, টেনে-হিছড়ে রিক্সা থেকে নামিয়ে নির্যাতন করে এবং আমাকে মারতে মারতে পার্শ্ববর্তী দোকানে বেঁধে রাখে। ৩/৪ ঘন্টা আটক করে রাখার পর বিকেলে ছেড়ে দিলে আমি চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হই। পরবর্তী ১৭ ডিসেম্বর রবিবার দিবাগত রাতের আঁধারে বিবাদীগণ আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে আমার বাড়িতে যায়। ওখানে আমাকে না পেয়ে আমার নামীয় ক্ষতিয়ানভুক্ত প্রায় ৩ কানি (১২০ শতক) জায়গায় রোপিত তামাক ক্ষেত সম্পুর্ণ নষ্ট করে তছনছ করে ফেলে। যাহার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪ লক্ষ টাকা। বিবাদীগণ প্রকাশ্যে আমাকে হুমকী-দমকী দিচ্ছে যে আমাকে রাস্তায় কুপিয়ে মেরে ফেলবে, এলাকায় শান্তিতে থাকতে দিবেনা। আমার পরিবারের পর্যন্ত ক্ষতি করবে। বর্তমানে আমি এবং আমার পরিবার জান-মালের নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।
এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শাহ আলমের মুঠে ফোনে একাধিবার কল দিলেও তার মোবাইলে সংযোগ না দেয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। পার্শ্ববর্তী জমিতে চাষ করা কয়েকজন কৃষক বলেন, গত শনিবার ও রবিবার বিকেলে শাহ আলমকে ক্ষেতের আশপাশে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে। এদিকে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকার শতশত মানুষ নজরুল ইসলামের ক্ষেত দেখতে ভিড়জমায়।
স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার শফিকুর রহমান বলেন, বিবাদী মোঃ শাহ আলম বাদী মোঃ নজরুল ইসলামের সম্পর্কে আপন মামা। নজরুলের নানান অংশ হতে প্রাপ্ত তার মায়ের কিছু জায়গা নিয়ে পূর্ব থেকে দ্বন্দে জড়িয়ে আছে। ইতিপূর্বে আমরা সমাধান করে দিলেও শাহ আলম মানতে চায়নি। তিন কানি জমির তামাক নষ্ট করার কাজটি ভালো হয়নি। এমন অপরাধের বিচার হওয়া দরকার।