এফ এফ সিফাত হাসান,জেলা প্রতিনিধি,শেরপুর:
শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলায় এক মাদ্রাসার ছাত্রীকে (১৫) ধর্ষণ করে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে মূলহোতা ইউসুফ আলীকে (২১) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে উপজেলার ভেলুয়া ইউনিয়নের চকবন্দি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ইউসুফ স্থানীয় রফিকুল ইসলামের ছেলে। শনিবার দুপুরে জেলা সদর হাসপাতালে ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
জানা যায়, ইউসুফ আলী কিছুদিন থেকেই উপজেলার একটি মাদ্রাসাপড়ুয়া ছাত্রীকে উত্যক্ত ও কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে রাজি না হওয়ায় ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে সে। পরে তাকে ফুঁসলিয়ে ইউসুফের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং কৌশলে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে।
পরবর্তীতে পুনরায় তাকে ধর্ষণের প্রস্তাব দিলে ওই ছাত্রী তার পরিবারকে জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয় ইউসুফ। পরে ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ইউসুফকে প্রধান আসামি ও অজ্ঞাতনামা আরও ২ জনকে আসামি করে শ্রীবরদী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্ণোগ্রাফী আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে অভিযান চালিয়ে ইউসুফকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাইয়ুম খান সিদ্দিকী জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই অভিযান চালিয়ে ধর্ষক ইউসূফকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে তাকে ওই মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। একইসাথে মাদ্রাসাছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। রবিবার আদালতে তার জবানবন্দি গ্রহণ করা হবে।