মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ব্যুরো প্রধান, বান্দরবান
বান্দরবানের আলীকদমে অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ এফবিএম ইটের ভাটা বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। বান্দরবান জেলা প্রশাসকের আদেশে লাল রঙের সাইন বোর্ড টাঙানো হয়েছে। এতে লেখা রয়েছে, ‘মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নম্বর ১২০৪/২০২২ মূলে বন্ধ ঘোষণা করা হলো।
কিন্তু আদালতের রায় ও প্রশাসনের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে টাঙানো সাইন বোর্ডের পাশে ইটভাটার কার্যক্রম পরিচালনা করছিল আলীকদম উপজেলার এফবিএম ইটভাটার মালিক শওকত আলী তালুকদার।
বুধবার (২২ নভেম্বর) খবর পেয়ে আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে অভিযান পরিচালনা করেন ভূমি অফিসের এসিল্যান্ড মো. জিল্লুর রহমান। এসময় তিনি এফবিএম ইট ভাটার মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, আনুমানিক ২০ হাজার কাঁচা ইট পানি দিয়ে ধ্বংস এবং চুল্লিতে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় পানি ঢেলে বন্ধ করে দেন।
উল্লেখ্য, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০১৩ লঙ্ঘন করে কার্যক্রম চালানো হচ্ছিল এফবিএম ইটের ভাটায়। গতবছর জেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে অবৈধ ভাটার কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেন। টাঙানো হয়েছিল লাল সাইনবোর্ড। সম্প্রতি তারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইটভাটার কার্যক্রম শুরু করেছিল।
এ সংক্রান্ত আইনে বলা হয়েছে, ‘কোন ব্যক্তি ইটভাটায় ইট পোড়ানোর কাজে জ্বালানি হিসেবে কোন কাঠ ব্যবহার করতে পারবেন না’। এ আইনের ৪ ধারায় ‘জেলা প্রশাসকের নিকট হতে লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতিরেকে কোন ব্যক্তি ইট প্রস্তুত করতে পারবেন না’ বলে উল্লেখ থাকলেও ইট ভাটার মালিক লাইসেন্স গ্রহণ করেননি।
উপরন্ত আইন অমান্য করে কৃষিজমি বা পাহাড় বা টিলা থেকে মাটি কেটে বা সংগ্রহ করে ইটের কাঁচামাল ব্যবহার করা হচ্ছে। গ্রামীণ সড়ক ব্যবহার করে ইটের কাঁচামাল পরিবহন ও রিজার্ভ এলাকার কাছাকাছি ইটভাটা স্থাপন করে কয়লার পরিবর্তে লাকড়ি ব্যবহার করা হচ্ছিল।
অভিযুক্ত এফবিমে ইটভাটার মালিক শওকত তালুদকার বলেন, তিনি হাইকোর্ট থেকে একটি আদেশ পেয়ে ইটভাটার কার্যক্রম চালু করেছিল। এ সংক্রান্ত কপি জেলা প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ২০১৩ সালের ইট ভাটা আইনের লঙ্ঘন করায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও ফায়ার সার্ভিরে সাহায্যে পানি দিয়ে চুল্লি নিভানো হয়েছে। একই সাথে ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়।