টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী বাজারে অবৈধ চায়না জাল বিক্রির দায়ে ফাতেমা এন্টারপ্রাইজ এর কর্ণধার মোঃ নূরনবী (৫০) কে নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত।
এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশরাত জাহানের নির্দেশে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভুমি) আব্দুল্লাহ আল রনী ও মৎস্য অফিস কর্মকর্তা শামসুজ্জামান।
গত মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) বিকেল ৪ টার দিকে গোবিন্দাসী বাজারে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় অবৈধ জাল বিক্রির বেশ কয়েকটি দোকানেও তল্লাশি চালানো হয়।
এদিকে প্রশাসন আসার খবর পেয়ে ফাতেমা এন্টারপ্রাইজের মালিক নূরনবী তার দোকান ও গোডাউন বন্ধ করে পালিয়ে যায়। পরে বিভিন্ন ভাবে অবৈধ জাল ব্যবসায়ী নূরনবী’র সাথে ফোনে যোগাযোগ করলেও তার সন্ধান মেলে নি।
অতঃপর দীর্ঘ ৩ ঘন্টা যাবত ঐ গোডাউনের সামনে অবস্থান নেয় মোবাইল কোর্ট টিম ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
পরে গোবিন্দাসী বাজার বণিক সমিতির সভাপতি সরোয়ার আকন্দের সহযোগিতায় অবৈধ জাল ব্যবসায়ীকে ডেকে এনে গোডাউন খুলতে সক্ষম হন প্রশাসন। এসময় ঐ জালের গোডাউন থেকে ৫ বস্তা অবৈধ চায়না জাল জব্দ ও নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এসময় গোবিন্দাসী বাজার বণিক সমিতির সভাপতি সরোয়ার আকন্দ জানান, গোবিন্দাসী বাজারে শুধু অবৈধ জাল নয়, কেউ কোন অবৈধ মালামাল বেচাকেনা করতে পারবে না। যদি কেউ এরপরও অবৈধ কিছু বিক্রয় করে সে কোনোভাবেই ছাড় পাবে না।
এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শামসুজ্জামান বলেন, চায়না ও কারেন্ট জালসহ যে জাল দিয়ে পোনা মাছ ধরা হয় সেসব জাল আমাদের দেশে নিষিদ্ধ। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এ সর্বনাশা জাল বন্ধ করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল রনী গণমাধ্যমকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শামসুজ্জামান কে সঙ্গে নিয়ে গোবিন্দাসী বাজারের ফাতেমা এন্টারপ্রাইজে অভিযান চালিয়ে ৫ বস্তা অবৈধ চায়না জাল জব্দ ও নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও জব্দকৃত জালের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মৎস্য কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। এসময় তিনি আরো জানান মৎস্য সম্পদ বাঁচাতে এধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।