লামায় এক গর্ভবতী নারীকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আহত ওই বর্তমানে লামা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই ঘটনায় আহত নারীর স্বামী মোঃ আকবর হোসেন বৃহস্পতিবার রাতে তিনজনকে বিবাদী করে লামা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাদী বিবাদী উভয়ে প্রতিবেশী। গত ৫ অক্টোবর ১নং বিবাদী শাহারাজ (৫০) এর ১টি কবুতর বাদীর বসত ঘরে প্রবেশ করে। এসময় তার অবুঝ মেয়ে শান্ত বেগম (১৩) উক্ত কবুতরটি ধরে ভুলবশত পাখার পেখম (পরই) ফেলে দেয়। এই বিষয়ে বিবাদীরা আমার মেয়েকে গালমন্দসহ বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসছিল। তার সূত্র ধরে গত ১১ অক্টোবর বিকালে ২নং বিবাদী মোঃ জাহেদুল ইসলাম এর স্ত্রী ঝর্ণা (২৫) আমার স্ত্রী রিজিয়া বেগমকে বিবাদীর বসতবাড়ির সামনে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে লামা পৌরসভার মধুঝিরিস্থ শাহারাজ এর বাড়ির সামনে রাস্তার উপর সকল বিবাদী আমার স্ত্রীকে এলোপাথাড়ি মারধর করে। আমার স্ত্রী বর্তমানে ৪ মাসের গর্ভবতী। শাহারাজ আমার স্ত্রীর তলপেটে লাথি মারলে সে মাটিতে পড়ে যায়। ২নং বিবাদী ঝর্ণা আমার স্ত্রীকে ধরে রাখে এবং শাহারাজ ও মিনুয়ারা বেগম আমার স্ত্রীকে কিল ঘুষি দিয়ে মারাত্মক নীলাফুলা জখম করে।
পরে স্থানীয় লোকজন বিবাদীদের হাত থেকে আমার স্ত্রীকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করিয়া লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আমি স্থানীয় লোকজনদের নিকট জানতে পেরে দ্রুত লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত হই।
এবিষয়ে কথা হয় অভিযুক্ত ঝর্ণার সাথে। তিনি বলেন আমিও আহত। আমি লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছি।
লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম শেখ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।