মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ব্যুরো প্রধান, (বান্দরবান)
মনোরম নৈসর্গিক দৃশ্যর সমাহার ও সংস্কৃতি সমৃদ্ধ আমাদের এই সম্প্রীতির বান্দরবান। বাদরবান পার্বত্য জেলা, পাহাড়ী দূর্গম এলাকা হলেও প্রাকৃতিক সম্পদ সমৃদ্ধ এবং পর্যটন শিল্প বিকাশের অপার সম্ভাবনা থাকায় এটি বাংলাদশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জেলা। এই জেলার মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি উপজেলা লামা এবং আলীকদম। সদর দপ্তর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের বান্দরবান রিজিয়নের আওতাধীন আলীকদম সেনা জোন শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়ন বজায় রাখার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
আলীকদম ও লামা উপজেলার দূর্গম পাহাড়ি এলাকার জনগণ সাধারণত প্রকৃতির উপর নির্ভর করে জীবনযাপন করে থাকে। আধুনিক শিক্ষা, চিকিৎসাসহ অন্যান্য সামাজিক সুবিধা হতে বঞ্চিত এই এলাকার সাধারণ জনগণের যে কোন প্রাকৃতিক/কৃত্রিম দুর্যোগ মোকাবেলায় বন্ধু হয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিগত পাঁচ দশকের বেশি সময় যাবত পাশে রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় অ এলাকার যানবাহন চলাচলে অধিকতর নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে স্থানীয় চালক সমবায় সমিতি ও চালকদের নিয়ে আলোচনা এবং মত বিনিময়ের নিমিত্তে সম্মেলন-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সম্মেলনের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, লেঃ কর্ণেল মোঃ সাব্বির হাসান, পিএসসি, জোন কমান্ডার, আলীকদম জোন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মেজর মোঃ শওকাতুল মোনায়েম, পিএসসি, উপ-অধিনায়ক, আলীকদম জোন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ ইলেকট্রিক মিডিয়ার ব্যক্তিবর্গ।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন পার্বত্য চট্টগ্রামের এই দুইটি উপজেলায় যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে সকল চালকদের নির্দিষ্ট বয়সের পূর্বে গাড়ী না। চালানো, চালকদের রিফ্রেশার ট্রেনিং ব্যবস্থাকরণ, সড়ক আইন সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণা প্রদান, লাইটের ব্যবহার সম্পর্কে ধারণা, উচ্চ আওয়াজের হর্ন না বাজানো এবং প্রচলিত নিয়ম মেনে চলার জন্য আহব্বান জানান। এছাড়াও যত্র তত্র গাড়ী পার্কিং না করা, অধিকতর গতিতে গাড়ী না চালানো এবং অতিরিক্ত যাত্রী/বোঝাই না করার জন্য আহব্বান জানান।
তিনি আরোও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সকল স্তরের আপদকালীন সময়ে সবসময় সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করে আসছে। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য এলাকার সাধারণ জনগণের মাঝে পাশে থেকে যে কোন প্রয়োজনে সর্বদা নিরলসভাবে কাজ করে যাবে বলে জোন কমান্ডার আলীকদম জোন।