আলী আজীম, মোংলা (বাগেরহাট):
মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র ও পৌর আ’লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আ:রহমান বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে শান্তি প্রিয় মোংলায় জামায়াত-বিএনপি আবারো নৈরাজ্য করার চেষ্টা করছে। বিএনপি-জামায়াত দেশকে অস্থিতিশীল করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করতে চায়।
আজকে বাংলাদেশে দুটি ধারার রাজনীতি প্রবাহিত হচ্ছে। একটি স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদেশের মানুষকে সব দুঃখ-কষ্টে সরকারের সহায়তা দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে একাত্তরের পরাজিত শক্তি সেই জামায়ত এবং পঁচাত্তরের খুনি সে বিএনপি ও তাদের দোসররা সারাদেশে নতুন করে ভিন্ন একটি ধারার রাজনীতি শুরু করেছে। তাদের লক্ষ্য, দেশকে অস্থিতিশীল করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করা।
আওয়ামী লীগ একটি ঐতিহ্যবাহী দল। মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। দেশের মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করে আবারো ক্ষমতায় আসবে আওয়ামী লীগ এমন বার্তাই দিলেন পৌর মেয়র।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিন আগে রাজধানী ঢাকায় মহিলা দলের সমাবেশে মোংলার মহিলা দলের নেত্রীরা যে বক্তব্য দিয়েছেন তা খুবই দুঃখজনক। তিনি এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এক বিশেষ সাক্ষাতকারে তিনি আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াত জানে, অতীতে তারা যেসব অপকর্ম করেছে, রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকতে যেভাবে লুটপাট-দুর্নীতি করেছে, হাওয়া ভবনে বসে রাষ্ট্র যন্ত্র ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকে হত্যা করেছে, ক্ষমতার বাইরে থাকতেও পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ পুড়িযে হত্যা করেছে, জনগণের ভোটে নির্বাচনে আর তারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে পারবে না।
আজ তারা জনবিচ্ছিন্ন দল হিসেবে চিহ্নত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে আজ উন্নয়নের অগ্রযাত্রা হচ্ছে। দেশের মানুষের আস্থা ও ভরসার দল শেখ হাসিনার দল। এ কারণে এখন আবার নতুন করে বিএনপি-জামায়াত সম্মিলিত হয়েছে। তারা ভেবেছে ২০১৩-১৫ সালে যেভাবে সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছিল, আবারও সে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ব্যহত করবে।
দেশ এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা করোনাকালীন মহাদুর্যোগ পাড়ি দিয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতি মন্দার মধ্যেও আমরা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশ আবার অর্থনৈতিক মন্দার থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দেশের মানুষ নতুন করে স্বপ্ন দেখছে। পুরো বিশ্ববাসী বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে দেশের অর্থনীতির ধারা অব্যাহত রয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আমরা ২০৩১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবো। এ ধারা নষ্ট করার জন্যই বিএনপি-জামায়াত তৎপর আছে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংগঠনিক কার্যক্রম বিষয়ে তিনি বলেন, বিরোধীদের আন্দোলন মোকাবিলা ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে আওয়ামী লীগ। দল হিসেবে সবসময় নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রস্তুতি থাকে। আওয়ামী লীগ জন্মলগ্ন থেকে নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক দল। গণমুখী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই এই দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে উন্নয়ন অগ্রগতির জন্য আওয়ামী লীগ কাজ করে। সেই ধারাবাহিকতায় আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি।
রাজপথের আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় একটি দল। রাজপথে আন্দোলন করেই দলটি এদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছে। তাই যারা এর বিপক্ষের শক্তি হিসেবে মাঠে নামবে তাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি চলবে।
বাংলাদেশের মানুষের জানমালের কোনো ক্ষতি হতে দেয়া যাবে না। তাই নির্বাচন প্রস্তুতি ও রাজপথের আন্দোলনে আমাদের সরব ভূমিকা থাকবে।
সর্বোপরি, বিএনপি-জামায়াতের নির্বাচন বানচাল করার যেকোনে অপতৎপরতাকে প্রতিহত করে নৌকার নিরঙ্কুশ বিজয় সুনিশ্চিত করার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আ: রহমান।