আলী আজীম, মোংলা (বাগেরহাট):
মোংলায় ”সিরাজুল আলম খান এবং আগামীর বাংলাদেশ” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেএসডি’র বাগেরহাট জেলা শাখার আয়োজনে মোংলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টায় সভায়
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির বাগেরহাট জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল লতিফ খান’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মুজিবুর রহমান’র সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহবুব স্বপন।
আরও উপস্থিত ছিলেন, দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাড সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা নীলতর মিস্ত্রী, ১৪ দফা বাস্তবায়ন কমিটির খুলনা বিভাগের সমন্বয়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবু অশোক কুমার দেবনাথ, মোংলা উপজেলা জেএসডির সভাপতি মো: হাবিবুর রহমান মাষ্টার, জেএসডির বাগেরহাট জেলা শাখার সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন প্রমুখ।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দীন মাহমুদ স্বপন বলেন, বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের অক্লান্ত যোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের ভিত্তি নির্মাণের অন্যতম প্রধান কারিগর সিরাজুল আলম খান। তিনি চেয়েছিলেন একটি সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশ। সেলক্ষ্য ১৯৭২ এর ৩১ অক্টোবর গঠন করেন নতুন দল। স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগের বাইরে আরেকটি শক্তিশালী নতুন দল গঠন বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ হতে পারত। সংসদের ভেতর ও বাইরে শক্তিশালী বিরোধী দল ছাড়া সংসদীয় গণতন্ত্র অচল।আওয়ামী লীগ যদি জাসদকে নিয়মতান্ত্রিক ধারায় রাজনীতি করার সুযোগ দিত, বাংলাদেশের ইতিহাস অন্য রকম হতো। তাহলে মুজিব হত্যা, রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর প্রবেশ এবং পাকিস্তানপন্থী ও মৌলবাদী শক্তি উত্থান ঘটত না।
সিরাজুল আলম খানকে রাজনীতিক হিসেবে ভালো বলতে না পারলেও বাংলাদেশের স্বাধীনতাই তাঁর সাফল্যের সবচেয়ে বড় প্রমাণ। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ের তৎপরতার জন্য যদিও ম্লান হয়ে গেছে সে সাফল্যের অনেকখানি।
স্বাধীনতা অন্তপ্রাণ, দেশপ্রেমিক ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ঘটনাবহুল ব্যক্তি সিরাজুল আলম খানের কর্মময় জীবন নিয়ে আলোকপাত করেন। একই সঙ্গে তার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দর্শন এবং রাষ্ট্র ও সমাজ উপযোগী চিন্তাধারা-রাষ্ট্রশক্তির কাঠামোগত সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রয়োজনেই জনগণের সামনে তা তুলে ধরার আহ্বান জানান।