মোঃ মাসুদ রানা, রামগড়(খাগড়াছড়ি)প্রতিনিধিঃ
খাগড়াছড়ির রামগড়ে ভোর রাতে পিছনের দরজা ভেঙ্গে রামগড় হাসপাতালের স্বাস্থ্য সহকারী রুবেল কান্তি বড়ুয়ার বসত বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার ভোররাতে রামগড় পৌরসভার মুল বাজার আবাসিক এলাকায় রুবেল কান্তি বড়ুয়া ও স্ত্রী শিলু বড়ুয়াকে অস্ত্রেরমুখে জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ইত্যাদি লুন্ঠন করে নিয়ে যায়।
রুবেল বড়ুয়া জানান, শুক্রবার রাত আনুমানিক ৩টার দিকে ডাকাতরা বাসার পিছনের লোহার দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে। এসময় বাসার সবাই গভীর ঘুমে ছিল। ডাকাতরা প্রথমে ঘরে ঢুকে তার বেড রুমের দরজা লক করে পাশের বেড রুমে যায়,ঐ বেড রুমে তার স্ত্রী ও ৮ বছরের শিশুপুত্র ঘুমাচ্ছিল। ডাকাতরা ঘরের লাইট অন করলে শিলু বড়ুয়ার ঘুম ভেঙ্গে যায়। হঠাৎ জেগে ডাকাতদের দেখামাত্রই তিনি চিৎকার দেন। এসময় ডাকাতদের একজন ধারালো কিরিচ গলায় ধরে গৃহকর্তীকে জিম্মি করে। পরে তারা অস্ত্রের মুখে স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে সাথে নিয়ে গৃহর্কতার বেড রুমে হানা দেয়। ডাকাতরা ঐ রুমে ঢুকে রুবেল বড়ুয়া ও তার স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে জিম্মি করে ঐ রুমের আলমিরা,ওয়্যারড্রপ খুলে স্বর্ণ ২ভরি নগদ টাকা ৩১হাজার,মোবাইল ফোন লুন্ঠন করে নেয়, ডাকাতরা মুখোশপড়া ছিল।
শনিবার ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘন্টা যাবৎ তান্ডব চালায়। তিনি আরও বলেন, ডাকাতরদর কাছে তার মৃত মায়ের স্মৃতি চিহ্ন সোনার কানের পাশা ফেরৎ দেয়ার আকুতি-মিনতি জানালে ডাকাতদলের সর্দার দুই টাকার একটি কাগজের নোট তার মুখে ছুঁড়ে মারে। তিনি আরও বলেন, ডাকাতরা তাদের সবাইকে একটি রুমে আটকিয়ে রেখে পিছনের দরজা দিয়েই চলে যায়। চলে যাওয়ার আগে ডাকাতির কথা পুলিশ বা অন্য কাউকে জানালে দিনে-দুপুরে এসে সবাইকে জবাই করে হত্যার হুমকী দিয়ে যায়।
এলাকাবাসী জানায় এ ঘটনা জানার পর তারা আতঙ্কিত। তার বলেন দীঘ দিন যাবত এলাকায় নলকূপ চুরি হচ্ছে ও ঘরের বাহিরে কোন জিনিস পত্র থাকলে নিয়ে ষাচ্ছে। এ ব্যাপারে রামগড় থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছিলো।বাড়ির মালিক এখন সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত থানায় লিখিত অভিযোগ বা মামলা করেননি। তার পরেও পুলিশ দুর্বৃত্তদের ধরতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।