• শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম
বিএনপির আগামীর রাজনীতি হবে বাংলাদেশের মানুষ ও তারুণ্যের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশাকে প্রাধান্য দিয়ে- আমীর খসরু বানভাসিদের জন্য রাজারবাগ দরবার শরীফের মেডিকেল ক্যাম্পেইন খাগড়াছড়িতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সাত দিনের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে রেড ক্রিসেন্ট আরাফাত রহমান কোকোর স্মৃতি স্মরণে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত কাচালং নদীতে গোসল করতে নেমে এক কিশোরী নিখোজ নবীনগরে উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ,র ৫২ তম মৃত্যু বার্ষিকী পালন মানিকছড়িতে মারমা কল্যাণ সমিতির মতবিনিময় ও আলোচনা সভা মানিকছড়িতে মারমা ঐক্য পরিষদের মতবিনিময় সভা জেলার ত্রাণ তহবিলে নানিয়ারচর বিএনপির অর্থ জমা লংগদুতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শতাধিক পরিবারের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করে সেনা জোন লংগদুতে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত লংগদুতে ইউপি সদস্য রূপচান,র, পদ ত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন

গাইবান্ধায় বর্ষার আগেই ব্রহ্মপুত্র নদীতে তীব্র ভাঙন শুরু

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: / ৩৭৭ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : সোমবার, ৭ জুন, ২০২১

বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ও মোাল্লারচর ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্র নদী ভাঙতে শুরু করেছে। এর মধ্যে কামারজানি ইউনিয়নের কুন্দের পাড়ায় ভাঙনের মাত্রা সবচেয়ে বেশি।

গত ৭ দিনের ব্যবধানে ব্রহ্মপুত্র নদীর ভাঙনে কামারজানি ইউনিয়নে বিলীন হয়েছে কুন্দেরপাড়ার বেশ কিছু ঘরবাড়িসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। হুমকির মুখে আছে আরো বেশ কয়েকটি ঘরবাড়িসহ একটি মসজিদ। নদী ভাঙনে ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তীব্র নদী ভাঙনের আশঙ্কায় ভিটেমাটি ছেড়ে বাড়িঘর সরে নিয়ে নিরাপদ স্থানে যাচ্ছেন।

জানা গেছে, সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের কামারজানি বাজার ফেরিঘাট থেকে শুরু করে কুন্দের পাড়া গ্রাম থেকে বালাসীঘাট পর্যন্ত নদীর তীরবর্তী এলাকা তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে।

প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে নদীভাঙনের কবলে পড়ে এসব এলাকার কয়েক হাজার পরিবার নিঃস্ব হয়। কিন্তু এ বছর বর্ষা শুরুর অনেক আগেই এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন।

গত সপ্তাহে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে মোল্লারচর ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরবর্তী এলাকার মোল্লারচর, সাপেরচর, হাতিমারা, বাতুলিয়া, চিতুলিয়ার ,দিগার গ্রাম তীব্র আকারের ভাঙন শুরু হয়েছে। এরই মধ্যেই বেশ কিছু ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।বাড়িঘর সরিয়ে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিচ্ছেন। অনেকেই জীবনের ঝুকি নিয়ে নদীর পাড়েই বসবাস করছেন।
ভাঙন কবলিতরা জানান, ব্রহ্মপুত্র নদীতে তীব্র স্রোত শুরু না হলেও বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে বেশ কয়েক দিন ধরে বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো বাতাস থাকায় নদীতে সৃষ্টি হচ্ছে বড় বড় ঢেউ।

ঢেউয়ের আঘাতে ভাঙছে ব্রহ্মপুত্রের পাড়। গত ৭ দিনে ব্রহ্মপুত্র পাড়ের বিস্তীর্ণ ফসলি জমি ও গাছপালা ভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হয়েছে। ভাঙন আতঙ্কে গ্রামের বেশ কয়েকটি পরিবার তাদের ঘরবাড়ি তুলে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে।

সরেজমিনে মোল্লারচরের হাতিমারা, চিতুলিয়া ও কামারজানি কুন্দেরপাড়া এলাকার ব্রহ্মপুত্র তীরে দেখা যায়, বাতাসে নদী প্রচণ্ড উত্তাল হয়ে বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে পাড়ে। ঢেউয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পাড় ভেঙে বিলীন হয়ে যাচ্ছে নদীগর্ভে।

কয়েকটি এলাকায় দেখা যায় শূন্য ভিটা পড়ে আছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে, কয়েক দিন আগেও এখানে ছিল বসতবাড়ি। হয়তো নদীভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পেতে পরিবারগুলো অন্যত্র চলে গেছে। আর এ ভাবনাকে সত্য বলে জানালেন স্থানীয় কয়েকজন।

মোল্লারচর ইউনিয়নে মোল্লারচর গ্রামে বেশ কিছু লোকজন নিয়ে কাজ করছেন বদিউজ্জমান নামে এক যুবক । নদী ভাঙন সম্পর্কে জানা চেষ্টা করলে প্রতিবেদককে জানান, কয়েক দিন ধরে হালকা বৃষ্টির সঙ্গে প্রচণ্ড ঝোড়ো বাতাস দেখা দেয়। আর এই সময় নদীর পাড় ভাঙতে শুরু করে। আতঙ্কে স্থানীয় কয়েকটি পরিবার অন্যত্র চলে গেছে। তাঁরাও গত বছর ভাঙন শুরু হওয়ার পর এ জায়গা ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছিলেন। নদীর পাড় থেকে প্রায় ১৫০ গজ ভেতরের দিকে কয়েক দিন আগেও কয়েকটি বসতভিটা ছিল বলে তাঁরা জানান।

কামারজানি ইউনিয়নের কুন্দেরপাড়া মেনাজ উদ্দিনের ছেলে আমজাদ হোসেনের সাথে কথা হয় আমাদের, তিনি জানান, গত সাত থেকে আট দিনে নদীর পাড় ৬০ থেকে ৮০ ফুট ভেঙেছে। কয়েক দফা ভাঙনের শিকার হয়ে দুই বছর আগে এই গ্রামে এসে তিনি বসবাস শুরু করেন। নদীর তীব্র ভাঙনে এই বছরও এখানে থাকা সম্ভব হবে না বলে আশঙ্কা হচ্ছে তার। কারণ, বর্ষা শুরুর আগেই যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে, তাতে বর্ষায় পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হবে, তা ভাবতেই পারছেন না।

ভাঙন রোধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে জানান মোল্লারচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল হাই মন্ডল। তিনি বলেন, কয়েক বছরের ভাঙনে ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম ব্রহ্মপুত্রে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনে ইউনিয়নের ভৌগোলিক সীমানা দিন দিন ছোট হয়ে আসছে। এলাকাবাসীর দাবি সত্ত্বেও ভাঙন রোধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা না নিলে পুরো গ্রাম বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ