টানা বৃষ্টিতে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়কে পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ায় ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। পার্বত্য অঞ্চলটিতে নদ-নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। এর মধ্যে সড়ক প্লাবিত হয়ে বান্দরবানের সাথে সারা দেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এছাড়া, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিভিন্ন এলাকা। এদিকে, বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কায় পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা বাসিন্দাদের সরে যেতে আজও চলছে মাইকিং। এদিকে, বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় জেলার জুরাছড়ি ও সদর উপজেলার কুতুকছড়ি এলাকায় দেখা দিয়েছে বন্যা।
তলিয়ে গেছে বসত-বাড়ি, মাছের ঘের ও ফসলি জমিতলিয়ে গেছে বসত-বাড়ি, মাছের ঘের ও ফসলি জমি
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, গত ৬ দিনের টানা বৃষ্টিতে জেলার সাঙ্গু ও মাতামুহুরি নদীর পানি বেড়ে জেলা শহর ও উপজেলায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষভ এছাড়া বিভিন্ন স্থানে রাস্তার ওপর পাহাড় ধসে অনেক বড় বড় পাথর সড়কের ওপর এসে পড়েছে ।
এতে বান্দরবানের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। তবে এই ঘটনার পর পরই থানচি থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল সড়কের ওপর থাকা পাথরগুলো সরাতে কাজ শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।
৬ বিভাগে মঙ্গলবারও থাকবে বৃষ্টি৬ বিভাগে মঙ্গলবারও থাকবে বৃষ্টি স্থানীয়রা জানান, টানা ৬ দিনের বৃষ্টিতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকা। এছাড়া, সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় সারা দেশের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
অন্যদিকে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় মাইকিং চলছে খাগড়াছড়িতেও। জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে সরকারি কর্মকর্তাদের ছুটি।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে-পৌর এলাকায় ৩০টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে সাড়ে তিন হাজার পরিবারসহ পুরো জেলায় ঝুঁকিতে বসবাস করছে প্রায় ৩৫ হাজার পরিবার।