বেনাপোল মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী আনিকার সড়ক দুর্ঘটনায় অকাল মৃত্যুতে বিদ্যালয়ের সকল ছাত্রী এবং শিক্ষকরা মিলে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন করেছেন। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত স্কুল ছাত্রী আনিকা(১৩) বড় আঁচড়া গ্রামের আলমগীর হোসের কন্যা।
বুধবার দুপুর ১২টার সময় বেনাপোল মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে যশোর-কোলকাতা মহাসড়কে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মানববন্ধনে বিদ্যালয়ের সকল শ্রেণির ছাত্রীদেরকে বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে নানা প্লেকার্ড হাতে নিয়ে রাস্তার দুপাশে দাড়াতে দেখা যায়। সহপাঠীর মৃত্যুতে সকলের মধ্যে ছিলো ক্ষোভ ও শোকের ছায়া।
মানববন্ধনে স্কুলের শিক্ষকরা বলেন, অবিলম্বে বেনাপোল মহাসড়ককে যানযট মুক্ত রাখতে হবে। অযথা সড়কে কোন বাস ট্রাক রাখা যাবে না। ট্রাফিক পুলিশকে তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। এছাড়াও ট্রাক এবং বাস টার্মিনাল থাকা সত্ত্বেও বাস-ট্রাক কেন রাস্তার উপরে রাখা হয় শিক্ষরা তার জবাব চেয়েছেন।
মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণির ছাত্রীরা তাদের বক্তব্যে বলেন, আমরা বেনাপোলে নিরাপদ সড়ক চাই। জীবনের ভয় নিয়ে যেন আমাদের বিদ্যালয়ে আসা না লাগে। নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়নে ফুট ওভার ব্রীজ নির্মাণ সহ প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। যথাযথ কর্তৃপক্ষ যদি ১৫ দিনের মধ্যে বেনাপোলে যানযট নিরসন করতে না পারে, তাহলে আমারা সকল ছাত্রীরা রাস্তায় নেমে আইন হাতে তুলে নিয়ে এই যানযট নিরসন করে দেখিয়ে দেবো। এছাড়াও তারা অবিলম্বে ঘাতক ট্রাক ড্রাইভারের কঠোর শাস্তির দাবি করেন।
ঘটনাস্থল থেকে জানা যায়, আনিকা বাড়ি হতে স্কুলে আসার পথে বেনাপোল চেকপোস্ট বড় আঁচড়া প্রাইমারি স্কুলের সামনে রাস্তা পারাপারের সময় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ঘাতক ট্রাক ও চালককে আমরা আটক করতে সক্ষম হয়েছি। এছাড়াও চেকপোস্টে অবৈধভাবে দখল করা ফুটপাত উচ্ছেদ করেছি। এছাড়াও বেনাপোলে যানযট নিরসনে আমরা সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।