• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ধর্মের ভিত্তিতে কোন ধরনের বিভাজন দেখতে চায়না জামায়াত: রামগড়ে অধ্যক্ষ আমিরুজ্জামান কাপ্তাইয়ে রুপসী কাপ্তাইয়ের ৪০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে নানা আয়োজন খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট এর শুভ উদ্বোধন করলেন – ২০৩ পদাতিক খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান খাগড়াছড়ি বাইতুশ শরফ জব্বারিয়া আদর্শ আলিম মাদ্রাসায়  অভিভাবক সম্মেলন অনুষ্ঠিত মহালছড়ি উপজেলা বাজারে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করেছে বিশেষ টাস্কফোর্স কমিটি রামগড়ে জামায়াতে ইসলামের কর্মী ও সুধী সমাবেশ   সাফ জয়ী জাতীয় দলের কৃতি ফুটবলার মনিকা চাকমাকে সংবর্ধনা দিলেন সেনাবাহিনীর গুইমারা রিজিয়ন ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কাপ্তাইয়ে অনুষ্ঠিত হলো জোন কমাণ্ডার’স স্কলারশিপ খাগড়াছড়ি ক্বওমী মাদরাসা ও ওলামা ঐক্য পরিষদ রামগড় উপজেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল সম্পন্ন ঐতিহ্য ফিরে আসুক বান্দরবানে-থানজামা লুসাই রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগ লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত বাঙ্গালহালিয়া ভিমাছড়া সার্বজনীন শ্রী শ্রী পঞ্চায়েত সংঘের উদ্যোগে গীতা পাঠ

কয়রায় জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় মডেল মসজিদ নির্মাণে অনিশ্চয়তা

আতাউর রহমান তুহিন, স্টাফ রিপোর্টার(খুলনা) / ১৭৯ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : বুধবার, ২ আগস্ট, ২০২৩

জমি অধিগ্রহণের জটিলতায় খুলনার কয়রা উপজেলায় মডেল মসজিদ ও ইসলামি সংস্কৃতি কেন্দ্র নির্মাণে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কয়রায় মসজিদটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ায় কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের তিন বছর পরও ১৬ শতক জমি অধিগ্রহণ করতে না পারায় এই মসজিদের নির্মাণকাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় নির্মাণকাজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে দাঁড়িয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে নির্মাণ শেষ করা নিয়ে সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে।

খুলনা গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চার বছর আগে কয়রা উপজেলা সদরের তিন রাস্তার মোড়সংলগ্ন এলাকায় মডেল মসজিদ ও ইসলামি সংস্কৃতি কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ৪৬ শতক জমির ওপর মসজিদটি নির্মাণের জন্য ব্যয় ধরা হয় ১৩ কোটি ১২ লাখ ৩১ হাজার টাকা। ২০১৯ সালের ১৯ মে নির্মাণকাজ বাস্তবায়নের জন্য মধু ট্রেডার্স নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি প্রাথমিকভাবে বালু ভরাট ও পাইলিংয়ের কাজ করে। কিন্তু নকশা অনুযায়ী মসজিদ নির্মাণের জন্য নির্ধারিত জমির পশ্চিমাংশে জমি কম থাকায় বিপত্তি বাধে। সেই থেকে ১৬ শতক জমি অধিগ্রহণের জন্য ৪ বছর ধরে আটকে আছে নির্মাণকাজ।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মধু ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী শফিকুল ইসলাম মধু এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘২০১৯ সালে কার্যাদেশ পাওয়ার পর এক মাসের মধ্যে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে মসজিদের কাজ শুরু করেছিলাম। সেখানকার নিচু জমি ভরাট করে পাইলিংও রেডি করেছিলাম। এরপর মূল ভবনের কাজ শুরু করতে যেয়ে দেখা যায়, নকশার সঙ্গে পশ্চিম দিকের জমি কম। সেই থেকে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতার কারণে কাজ বন্ধ। সেখানে আমার অনেক টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমানে মালামালের দাম বেশি। প্রস্তাবিত মূল্য বাড়ানো না হলে আর কাজ করা সম্ভব নয়।’

কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মমিনুর রহমান বলেন, নির্মাণকাজ পুনরায় এগিয়ে নিতে নিয়মিত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছি। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে আমাকে জানানো হয়েছে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ভূমি জটিলতা শেষ করে কাজ পুনরায় শুরু করা সম্ভব হবে।

খুলনা গণপূর্ত বিভাগ-২ এর উপসহকারি প্রকৌশলী আবুল হাসান বলেন, জমি সংক্রান্ত জটিলতার কারণে বিলম্ব হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জমি অধিকরনের ছাড় পত্র দিলেই সব প্রতিবন্ধকতার সমাধান করে দ্রুতই নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ