অরক্ষিত সুন্দরবনে শুধু বাঘ নয়; কোন প্রাণীর জীবনই সেখানে নিরাপদ না। বাঘের জীবন রক্ষায় সুন্দরবন রক্ষা জরুরি। সুন্দরবনের পরিবেশ-প্রকৃতি বাঘ টিকে থাকার জন্য কঠিন। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে লবণাক্ততা বৃদ্ধি, নিয়মিত ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাস’র তান্ডব এবং বন্যপ্রাণী হত্যা ও বাঘ চোরাবারি সিন্ডিকেট’র দৌরাত্ম বৃদ্ধির ফলে বাঘ টিকে থাকা কঠিন। আমাদের উচিত হবে সুন্দরবনে বাঘের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা। সুন্দরবন রক্ষা করলে বাঁচবে বাঘ এই উপলব্ধি থেকে বিশ্ব বাঘ দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (২৮ জুলাই) সকালে সুন্দরবন সংলগ্ন দক্ষিণ কাইনমারিতে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) মোংলার আয়োজনে মানববন্ধনে বক্তারা একথা বলেন।
“বাঘ করি সংরক্ষণ; সমৃদ্ধ হবে সুন্দরবন” শ্লোগানে শুক্রবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর কেন্দ্রিয় নেতা ও বাপা মোংলার আহ্বায়ক মোঃ নূর আলম শেখ। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাপা নেতা আব্দুর রশিদ হাওলাদার, বাপা নেতা গীতিকার মোল্লা আল মামুন, বাপানেত্রী কমলা সরকার, বাপা সদস্য শেখ রাসেল, তন্বী মন্ডল প্রমূখ। “সুন্দরবন বাঁচাও, বাঘ বাঁচাও” শীর্ষক মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, বাঘের জন্য খাদ্য একটা বড় বিষয়। বাসস্থানের সংগে তার খাদ্য ও নিরাপত্তা জরুরি বিষয়। বাঘের নিয়মিত খাদ্য হচ্ছে হরিণ। যদি সুন্দরবনে পর্যাপ্ত হরিণ না থাকে তবে জায়গা থাকলেও বাঘ থাকবেনা।
সভাপতির বক্তব্যে বাপা’র কেন্দ্রিয় নেতা মোঃ নূর আলম শেখ বলেন, ২০১০ সালে রাশিয়ায় প্রথমবারের মতো বাঘ সম্মেলনে বাংলাদেশসহ ১৩টি দেশ নিজ দেশে ১২ বছরের মধ্যে বাঘের সংখ্যা দ্বিগুন করার ঘোষণা দিয়েছিলো। এরমধ্যে নেপাল বাঘের সংখ্যা দ্বিগুন করেছে। ভারত এবং ভুটানও দ্বিগুনের কাছাকাছি নিয়ে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশে বাঘের সংখ্যা খুব একটা বাড়েনি। মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার শতাধিক নারী-পুরুষ “বাঘের আবাসস্থল সুন্দরবন রক্ষা করো” “সুন্দরবন বাঁচাও, বাঘ বাঁচাও” “বাঘ আমার অহংকার, রক্ষার দায়িত্ব সবার” “সুন্দরবনে পরিকল্পিত অগ্নিকান্ড বন্ধ করো” “সুন্দরবন বিনাশী সকল প্রকল্প বাতিল করো” ইত্যাদি শ্লোগান সম্বলিত প্লাকার্ড-ফেস্টুন হাতে নিয়ে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।