অবশেষে সমাবেশের অনুমতি পেল আওয়ামী লীগের তিন সংগঠন এবং বিএনপি। ২৩ শর্তে তাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমপি। বিএনপিকে নয়াপল্টনে এবং আওয়ামী লীগকে বায়তুল মোকাররম গেটে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
শর্তসমূহ হলো―
১. বিএনপি নাইটেঙ্গেল মোড় থেকে পুলিশ হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত সমাবেশ করবে এবং এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে।
২. আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, মহানগর নাট্যমঞ্চ থেকে পশ্চিমে মুক্তাঙ্গন পর্যন্ত এই এলাকাগুলোতে তাদের সমাবেশ এবং মাইকিং সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
৩. কোনো লাঠিসোঁটা কোনোভাবেই সমাবেশে আনতে পারবে না।
৪. কোনো ব্যাগ বহন করতে পারবে না।
৫. রাষ্ট্রদ্রোহী কোনো বক্তব্য তারা দিতে পারবে না।
৬. নির্ধারণ করে দেওয়া সীমানার বাইরে মাইক ব্যবহার করতে পারবে না।
৭. জনদুর্ভোগ এড়াতে যত দূর সম্ভব নিজেদের ভলান্টিয়ার রাখবে এবং আইন-শৃঙ্খলা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রত্যেক দলই তাদের স্বেচ্ছাসেবক বা শৃঙ্খলা বাহিনীর লোক রাখবে, যারা পুলিশকে সার্বিক সহযোগিতা করবে।
৮. কোনো দলই আইন-শৃঙ্খলা অবনতি হওয়ার মতো কোনো কাজ করবে না।
৯. শব্দদূষণ প্রতিরোধে সীমিত আকারে মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করতে হবে, কোনোক্রমেই অনুমোদিত স্থানের (দক্ষিণ-পূর্বে মহানগর নাট্যমঞ্চ, দক্ষিণে সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্স, দক্ষিণ-পশ্চিমে ফুলবাড়িয়া ক্রসিং ও উত্তর-পশ্চিমে মুক্তাঙ্গন পর্যন্ত) বাইরে মাইক/পদযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।
১০. অনুমোদিত স্থানের (দক্ষিণ-পূর্বে মহানগর নাট্যমঞ্চ, দক্ষিণে সারেন্টি আহাদ পুলিশ বক্স, দক্ষিণ-পশ্চিমে ফুলবাড়িয়া ক্রসিং ও উত্তর-পশ্চিমে মুক্তাঙ্গন পর্যন্ত) বাইরে প্রজেক্টর স্থাপন করা যাবে না।
১১. আজান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।
১২. ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত আসতে পারে এমন কোনো বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না।
১৩. সমাবেশের কার্যক্রম ব্যতীত মঞ্চকে অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না।
১৪. সমাবেশ শুরুর ০২ (দুই) ঘণ্টা পূর্বে লোকজন সমবেত হওয়ার জন্য আসতে পারবে।
১৫. অনুমোদিত সময়ের মধ্যে (২টা থেকে ৫টা) সমাবেশের সার্বিক কার্যক্রম শেষ করতে হবে।
১৬. কোনো অবস্থাতেই মূল সড়কে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।
১৭. আইন-শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না।
১৮. রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপ ও বক্তব্য প্রদান করা যাবে না।
১৯. উসকানিমূলক কোনো বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।
২০. কোনো ধরনের লাঠিসোঁটা/ব্যানার, ফেস্টুন বহনের আড়ালে লাঠি, রড ব্যবহার করা যাবে না।
২১. আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ও কোনো বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে।
২২. উল্লিখিত শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।
২৩. জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।