রাজধানীর খিলগাঁও থানার দক্ষিণ বনশ্রী এলাকায় প্রেমিক মাহফুজ আহমেদ সুমনের সাথে ঝগড়া করে প্রেমিকা স্বপ্না আক্তার(২৫) নামে এক শিক্ষার্থী গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সে হাবিবুল্লাহ বাহার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিস্ট্রি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল।
মঙ্গলবার(২৫ জুলাই) দুপুর আড়াইটার টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ছোট বোন সাবিনা আক্তার বলেন, মাহফুজ আহমেদ সুমন আমাকে ফোন দিয়ে বলে তোমার বোনের সাথে সাথে একটু থাইকো। আমি কয়েকবার তার কাছে গেলে সে আমার এবং আমার হাজব্যান্ড কে বলে তোদের দুজনকে মারবো আমার কাছ থেকে যা। পরে আবারো আমাকে মাহফুজ ফোন দিয়ে বলে তোমার বোনের কাছে যাও। পরে আমি গেলে দেখি দরজা বন্ধ। এরপর আমি আবার মাহফুজকে ফোন দিয়ে বলি আপা দরজা খুলে না। মাহফুজ বলেন নিচের থেকে দারোয়ানকে ডেকে এনে দরোজা ভেঙ্গে ফেলো। পরে দারোয়ানকে ডেকে এনে দরজা ভেঙে দেখি আমার বোন ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে ঝুলে আছে। মাহফুজের সাথে যোগাযোগ আছে আমরা জানতাম কিন্তু তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক আছে কিনা সেটা বলতে পারছি না।
তিনি আরো বলেন,আমার বোনের এর আগে ২০১৬ সালে বিয়ে হওয়ার পর ডিভোর্স হয়ে যায়।আমাদের বাড়ি চাঁদপুর জেলার মতলব থানার পয়েলী মিয়াজী বাড়ী এলাকায়। বর্তমানে আমরা বনশ্রী ১৪ নং রোডের ১৫ নং বাসা বনবিথী হাউসের ০২ তলায় ভাড়া থাকি।
নিহতের এক আত্মীয় রাকিব বলেন, মাহফুজ আহমেদ সুমনের সাথে তার দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মাহফুজ আহমেদ সুমন সদ্য সাবেক হাবিবুল্লা বাহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।তার সাথে মোবাইল ফোনে ঝগড়া হয়। পরে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। আমরা খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেলে এসেছি।
খিলগাঁও থানার পরিদর্শক তদন্ত সুজিত কুমার সাহা বলেন, আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছি। মরদেহটি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে আছে। আমরা ঢাকা মেডিকেলে একটি টিম পাঠিয়েছি।
পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/এমএস