• বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম
গোয়ালন্দে প্রাথমিক শিক্ষকদের নবীন বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দীঘিনালা উপজেলায় কর্মী ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত মানবতার সেবায় এগিয়ে এপেক্স ক্লাব অব বান্দরবান দু:স্থ অসহায় পাহাড়ি-বাঙালিদের মাঝে বিজিবি’র আর্থিক অনুদান রাজস্থলী স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমতি ছাড়া লক্ষ টাকার গাছ কাটার অভিযোগ নতুন ধান তোলা নিয়ে পাহাড়ে উৎসবের আমেজ পাহাড় জুড়ে সুবাস, কৃষকের মুখে হাসি অজপাড়াগাঁয়ের মেয়ে -খ্যাই উ প্রু মারমা পেলেন জননী  জয়িতা পুরস্কার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে চবি শিবিরের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়ি রিজিয়ন এর আয়োজনে সম্প্রীতির কনসার্ট ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা  আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে রামগড়ে ছাত্রদলের মানববন্ধন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে দীঘিনালা উপজেলা ছাত্রদল ও কলেজ ছাত্রদলের মানববন্ধন মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কাপ্তাইয়ে উন্মুক্ত নক আউট ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

আওয়ামী লীগ মানে জনগণের বন্ধু, শেখ হাসিনা মানে উন্নয়নের বন্ধু’- পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ব্যুরো প্রধান, বান্দরবান / ৭৫৮ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : শনিবার, ৮ জুলাই, ২০২৩

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, যিনি সু-নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে সবাইকে সাথে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবে তাকে আগামী তিন বছরের জন্য দায়িত্ব দেয়া হবে। আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটি নেতা-কর্মী এদেশের মানুষকে সেবা করার মত ক্ষমতা রাখে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে একটি নিয়মিত বাহিনীর বিরুদ্ধে এদেশের কৃষক-শ্রমিক-ছাত্র-জনতা লাঠিসোটা নিয়ে ৭১ সালে পাক বাহিনীকে পরাজিত করে স্বপ্নের বাংলাদেশ আমরা গড়েছি। সুতারাং যোগ্যতা আমাদের সবার মাঝে আছে। সম্মেলনে যারা প্রার্থী হয়েছে সবাই যোগ্য, তবে দল যাকে যেখানে উপযুক্ত মনে করবে সেখানে তাকে নেতা হিসাবে নির্বাচিত করবে। ছাড় দেয়ার মানসিকতা যার মধ্য নাই সে দল করার বা নেতা হওয়ার যোগ্যতা রাখেনা। সু-নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষমতা ছিল বলেই শেখ মুজিব বঙ্গবন্ধু হয়েছিল। জনগণকে সেবা দিতে সংগঠন দরকার আর সংগঠন শক্তিশালী করতে সু-নেতৃত্বের দরকার।

তিনি আরো বলেন, ১৯৯১ সাল ১৭ হাজার ভোট দিয়ে বাদরবানে আওয়ামী লীগের যাত্রা শুরু। আজ সই ভোট ১ লক্ষ ৩৫ হাজার গিয়ে ঠেকেছে। সাধারণ মানুষ বিচার করে, কোন দল দিয়ে তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। আমরা আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছি ‘আওয়ামী লীগ মানে জনগণের বন্ধু, শেখ হাসিনা মানে উনয়নের বন্ধু’। আওয়ামী লীগ সরকার ছাড়া অন্য কোন দল আমাদের কথা ভাবেনি। আজ বান্দরবানে একটি বিশ্ব-বিদ্যালয় সহ ১৪টি কলেজ। অতীতের সরকার কেন আমাদের ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার কথা ভাবেনি ? সর্ব ক্ষেত্রে দেশ এগিয়ে গেছে। বিএনপি’র আমলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার মেগওয়াট। এখন ২০ থেকে ২৫ হাজার মেগওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় দেশে। শেখ হাসিনা এখন দেশীয় নয়, বিশ্ব নেতাদের একজন। যা আমাদর গর্ব। আমরা অন্য দলের রাজনৈতিক নেতাদের খারাপ বলব না। আমরা তাদের সম্মান করি। কিন্তু তারা জনগণের জন্য কি করেছে হিসাব দেখেন, আমরাও হিসাব দিই। দেখি কারা বেশি উন্নয়ন করেছে। আমার অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল লামায় নারী শিক্ষা প্রসারে একটি মহিলা কলেজ করার। আগামীতে ক্ষমতায় আসলে লামায় মহিলা কলেজ করা হবে। শনিবার (০৮ জুলাই) দুপুর ১টায় লামা টাউনহলে লামা পৌর আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাব বক্তব্য রাখতে গিয়ে এইসব কথা বলেন পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।

পার্বত্য মন্ত্রী শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়িয়ে বাদরবানের লামা পৌর আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের শুভ উদ্বাধন করেন। এইসময় তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে লামা পৌর এলাকায় ৩ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৮টি উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর ফলক উম্মোচন করেন। উদ্বোধনকৃত উন্নয়ন কাজগুলো হল, লামা রাজবাড়ি জামে মসজিদ, লামা কলিঙ্গাবিল মাষ্টার খলিফা বাড়ি হতে লামামুখ পর্যন্ত আরসিসি সেচ ড্রেন, লামা ছাগলখাইয়া জামে মসজিদের টাইলস ও মাদ্রাসা, বড়নুনারবিল কেদ্রীয় করবস্থানের ভূমি উন্নয়নসহ বাউন্ডারী ওয়াল, লামা চেয়ারম্যান পাড়া কেদ্রীয় মসজিদ সম্প্রসারণ ও লামা আলিয়া এতিমখানা ভবন। ভিত্তিপ্রস্তরকৃত উনয়ন কাজগুলো হল- লামা মাষ্টারপাড়া পোপারুং বৌদ্ধ বিহারের সীমানা প্রাচীর ও রিটেইনিং ওয়াল ও লামা চেয়ারম্যান পাড়া কাটা পাহাড় মসজিদের মাঠে ঢালাইসহ টাইলসকরণ। লামা পৌর এলাকায় ৩৮ কোটি টাকা আর লামা উপজেলায় ২০২ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উনয়ন বোর্ড। তার সাথে অন্যান্য সংস্থা তো আছেই।

সম্মেলনে পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি প্রধান অতিথি হিসাব অংশ নেন। অনুষ্ঠানের ১ম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন, লামা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ রফিক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাদরবান জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজল কান্তি দাশ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লক্ষীপদ দাশ, লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল, লামা পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জহিরুল ইসলাম, বাদরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ক্যসাপ্রু মার্মা, ফাতেমা পারুল, শেখ মাহাবুবুর রহমান, উপজলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাথোয়াইচিং মার্মা সহ প্রমূখ।

দুপুর ১টা থেকে কমিটি গঠন তথা ২য় অধিবেশন শুরু হয়। ২য় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন লামা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাথোয়াইচিং মার্মা। লামা পৌর কমিটির ৬১ জন ও পৌরসভার ৯ ওয়ার্ড থেকে আগত সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক সহ সকল কাউন্সিলরদের মতামতে সিলেকশনে আগামী ত্রি-বার্ষিক কমিটি গঠন করা হয়। পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি নিজেই নবনির্বাচিত কমিটি ঘোষণা করনে।

নতুন ত্রি-বার্ষিক কমিটিতে সভাপতি মোঃ রফিক, সহ-সভাপতি মোঃ শাহজাহান, উজ্জ্বল বড়ুয়া, এম বশিরুল আলম, রফিক সরকার, সাধারণ সম্পাদক বাসু পালিত, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক গোলাম আজম সৌরভ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ তৈয়ব আলী, মংছিংপ্রু মার্মা নির্বাচিত হয়েছেন। কমিটিত নির্বাচিতদের আগামী ১৫ দিনের মধ্য ৬১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে অনুমোদন নিতে বলা হয়েছে।

পার্বত্যকন্ঠ নিউজ এমএস 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ