জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়িয়ে বান্দরবানের লামা পৌর আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন শুভ উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। শনিবার (০৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় লামা টাউনহল প্রাঙ্গনে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন তিনি।
এইসময় তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে লামা পৌর এলাকায় ৮টি উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর ফলক উম্মোচন করেন। উদ্বোধনকৃত উন্নয়ন কাজগুলো হল, লামা রাজবাড়ি জামে মসজিদ, লামা কলিঙ্গাবিল মাষ্টার খলিফা বাড়ি হতে লামামুখ পর্যন্ত আরসিসি সেচ ড্রেন, লামা ছাগলখাইয়া জামে মসজিদের টাইলস ও মাদ্রাসা, বড়নুনারবিল কেন্দ্রীয় করবস্থানের ভ‚মি উন্নয়নসহ বাউন্ডারী ওয়াল, লামা চেয়ারম্যান পাড়া কেন্দ্রীয় মসজিদ সম্প্রসারণ ও লামা আলিয়া এতিমখানা ভবন। ভিত্তিপ্রস্তরকৃত উন্নয়ন কাজগুলো হল- লামা মাষ্টারপাড়া পোপারুং বৌদ্ধ বিহারের সীমানা প্রাচীর ও রিটেইনিং ওয়াল ও লামা চেয়ারম্যান পাড়া কাটা পাহাড় মসজিদের মাঠ ঢালাইসহ টাইলসকরণ।
লামা পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত বিশাল জনসভায় পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি প্রধান অতিথি হিসাবে অংশ নেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, লামা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ রফিক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো উপস্থিত ছিলেন, বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজল কান্তি দাশ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লক্ষীপদ দাশ, লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল, লামা পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জহিরুল ইসলাম, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ক্যসাপ্রæ মার্মা, ফাতেমা পারুল, শেখ মাহাবুবুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাথোয়াইচিং মার্মা সহ প্রমূখ।
মঞ্চে প্রধান অতিথিকে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা দলে দলে ফুল দিয়ে বরণ করেন। পার্বত্যমন্ত্রীর লামায় আগমণ উপলক্ষে ও পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে ঘিরে লামা টাউনহল প্রাঙ্গন কয়েক হাজার মানুষের সমাগম হয়েছে।
এদিকে সম্মেলনকে ঘিরে আগামীর নেতৃত্বে কারা আসবে তা নিয়ে চলছে জল্পনা কল্পনা। পৌর আওয়ামী লীগের নেতা নির্বাচনে যোগ্যতার বিচার হবে নাকি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিবেচনা প্রধান্য পাবে, সেটাই ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া দলের শীর্ষ নেতারা হয়ত আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কারা দলের বিজয়ে ভূমিকা রাখতে পারবে সেই বিবেচনা করবে, তা সময়েই বলে দিবে। দলের নির্দেশনায় কেউ এখনো সরাসরি নিজের প্রার্থীতা ঘোষণা করেনি। তারপরেও সভাপতি পদে দুই জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে চার জনের নাম কাউন্সিলরদের মুখে মুখে শুনা যাচ্ছে। কাউকে কাউকে নানা কৌশলে নিজের প্রার্থীতা প্রকাশে নানান প্রচারণা কার্যক্রম করতে দেখা গেছে। কাউন্সিলরদের মাঝে সবচেয়ে বড় কৌতূহল দেখা গেছে নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে। ইলেকশন নাকি সিলেকশন হবে ?
পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/এমএস