বান্দরবান জেলার লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সাতটি টোল পয়েন্ট প্রকাশ্যে ইজারা দেয়ার দাবি তুলেছেন ইজারা গ্রহীতা ও ঠিকাদারগণ। এসব টোল পয়েন্ট প্রকাশ্যে ইজারা দেয়া না হলে প্রতি বছর সরকার কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হবে।
৯ জুন ২০২৩ইং শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে লামা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি তুলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ইজারা গ্রহীতা আবদুল হামিদ। এ সময় ইজারা গ্রহীতা আবদুল মন্নান ও মুহাম্মদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ইজারা গ্রহীতারা লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ৩০ মে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের স্মারক নং ২৯.৩৫.০৩০০. ০০৩. ৪২.০৪৭.২৩.৭৩৪ মূলে হাট বাজার ইজারা প্রদানের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে জেলার সর্ব মোট ১৩টি টোল পয়েন্ট ইজারাদার নিয়োগের জন্য দরপত্র আহবান করে কর্তৃপক্ষ। অথচ গত ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে জেলার একই উপজেলাগুলোতে সর্বমোট ২০টি টোল পয়েন্ট ইজারা প্রদান করা হয়েছিল।
চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি -এ তিন উপজেলার ৭টি টোল পয়েন্টের দরপত্র বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি। অথচ এসব টোল পয়েন্ট দিয়ে প্রতিনিয়ত বাজারে ও নদী পথে টোল ট্যাক্সে পণ্য দ্রব্য নিয়মিত চলাচল হয়ে আসছে। বিজ্ঞপ্তিতে বাদ পড়া টোল পয়েন্ট সমূহ হলো- লামা উপজেলার আজিজনগর, গজালিয়া রাস্তার মাথা সড়ক পথ, ইয়াংছা খালেরমুখ নদী পথ, ফাইতং ইউনিয়নের বানিয়ার ছড়া সংলগ্ন সড়ক পথ ও সোনাইছড়ি খাল নদী পথ, সরই ইউনিয়নের হাসনাভিটা বন বিট অফিস সংলগ্ন সড়ক পথ, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ইয়াংছা মানিকপুর সড়ক পথ, আলীকদম-ফাঁসিয়াখালী সড়কে কুমারী বাজার সংলগ্ন সড়ক পথ ও নাইক্ষ্যংছড়ি থানা হাসপাতাল সংলগ্ন সড়ক পথ।
এসব টোল পয়েন্ট প্রকাশ্যে ইজারা প্রদান করা না হলে সরকার প্রতি বছর কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হবে বলে জানান ইজারাগ্রহীতা আবদুল হামিদ। ইজারা গ্রহীতাদের ধারনা, একটি মহল গোপনে এসব টোল পয়েন্ট ইজারার নামে নয় ছয় করার পায়তারা করছেন। বাদ পড়া ৭টি টোল পয়েন্ট প্রকাশ্যে ইজারা প্রদানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা’র হস্তক্ষেপ কামনা করেন ইজারা গ্রহীতারা।
এ বিষয়ে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিককে বলেন, পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মাসিক সভার সিদ্ধান্তের আলোকে চলতি অর্থ বছরে এ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে।
পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/এমএস