উৎসবমুখর পরিবেশে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে শুরু হয়েছে মারমা সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় সামাজিক উৎসব বর্ষবরণ সাংগ্রাই। নতুন বছরকে বরণ করে নিতে নানা সাজে সেজে মারমা তরুণ তরুণীরা অংশ নিয়েছে আনন্দ শোভাযাত্রায়। বৃহস্পতিবার সকালে শহরের রাজার মাঠ থেকে শুরু হয় সাংগ্রাই উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা।
পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বেলুন উড়িয়ে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন। এ সময় সেখানে পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লুৎফুর রহমান, জেলা পরিষদের সদস্য সিং ইয়ং ম্রো সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
শোভাযাত্রায় মারমা তরুণ তরুণী থেকে শুরু করে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা সহ ১১ টি পাহাড়ি সম্প্রদায়ের নারী পুরুষ শিশু নানা সাথে সেজে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। শোভাযাত্রাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক মিলনায়তনে গিয়ে শেষ হয়। সাংগ্রাই উপলক্ষে আয়োজন করা হয় বয়স্ক পূজার। নতুন বছরের জন্য আশীর্বাদ নিতে বয়স্কদের সম্মান জানায় মারমা তরুণ তরুণীরা।
এদিকে সাংগ্রাই উপলক্ষে কাল শুক্রবার চন্দন পানিতে বৌদ্ধ স্নান ও শনিবার আয়োজন করা হবে জলকেলি উৎসবের। সাংগ্রাই উৎসবের মূল আকর্ষণই হলো মারমা তরুণ তরুণীদের দলবেঁধে পানি খেলার আয়োজন। এছাড়া পাড়ায় পাড়ায় চলছে পিঠা তৈরীর প্রতিযোগিতা। চারদিন ব্যাপি চলবে বান্দরবানের বর্ষবরণ সাংগ্রাই উৎসব। উৎসব দেখতে বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকরা ভিড় জমিয়েছে বান্দরবান শহরে।
এবার জেলা শহর ও শহরতলিতে উৎসবের আয়োজন থাকলেও দুর্গম এলাকায় উৎসব আনন্দ অনেকটাই ম্লান হয়ে পড়েছে। সন্ত্রাসী তৎপরতার কারণে রুমা ও রোয়া়ছড়িতে ৩ শতাধিক পরিবার এখন এলাকা ছেড়ে উন্নত আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে তারা নববর্ষের উৎসব পালন করতে পারছে না।
এম/এস