বান্দরবানের লামা উপজেলার আজিজনগর ও সরই ইউনিয়নে বন্য হাতির আক্রমনে নিহত ২ জনের পরিবার এবং বিভিন্ন সময় তান্ডব চালিয়ে বসতবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতিসাধণ করা ৬ পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে লামা বন বিভাগ।
বুধবার (১২ এপ্রিল) বেলা ১১টায় সরই ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে স্থানীয় জনগণ নিয়ে আয়োজিত এক জনসচেতনতামূলক সেমিনার শেষে ৮ পরিবারের মাঝে ক্ষতিপূরণের ৬ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়।
সেমিনার ও চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তফা জাবেদ কায়সার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, লামা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আরিফুল হক বেলাল। বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো উপস্থিত ছিলেন, সহকারী বন সংরক্ষক খোন্দকার মোঃ গিয়াস উদ্দিন, সরই ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইদ্রিছ, ডলুছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা এস এম রেজাউল ইসলাম, লামা মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, সাবেক সরই ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদ উল আলম সহ প্রমূখ। এছাড়া জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় লোকজন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
লামা বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, লামার আজিজনগর ইউনিয়নের বন্যহাতির আক্রমনে নিহত খোদেজা বেগমের ছেলে আব্দুর ছাত্তারকে ৩ লক্ষ টাকা, নিহত আমির আলীর ছেলে মোঃ রবিউল ইসলামকে ৩ লক্ষ টাকা, সরই ইউনিয়নের হাফেজা বেগমের বসতবাড়ি ভাংচুর ক্ষতিপূরণ বাবদ ১৫ হাজার টাকা, বসতবাড়ি ও কলা বাগান ভাংচুর করায় আমেনা বেগমকে ১৫ হাজার টাকা, ২ কানি ধানের ক্ষেত নষ্ট করায় আব্দুস ছফুরকে ১০ হাজার টাকা, বসতবাড়ি ও কলা বাগান ভাংচুর করায় আব্দুল মাবুদকে ১৫ হাজার টাকা, বসতবাড়ি ও ধান নষ্ট করায় আনোয়ারা বেগমকে ২০ হাজার টাকা এবং বসতবাড়ি ও ধান ক্ষেত নষ্ট করায় হোসনে আরা বেগমকে ১৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের চেক দেয়া হয়েছে।
বন্যহাতির আক্রমণে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ক্ষতিপূরণের চেক প্রদানের সময় লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আরিফুল হক বেলাল বলেন, পাহাড়ে আবাস্থল ও করিডোর নষ্ট হওয়ায় বন্যহাতিগুলো লোকালয়ে নেমে পড়ছে। পাহাড়ে বসবাসকারীদেরকে জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে বেশি বেশি সতর্ক থাকতে হবে। ভবিষ্যতে বন্যপ্রাণী মানুষের ক্ষতি করে থাকলে, বনবিভাগের পক্ষ থেকে বিধি মোতাবেক ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।
এম/এস