• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ধর্মের ভিত্তিতে কোন ধরনের বিভাজন দেখতে চায়না জামায়াত: রামগড়ে অধ্যক্ষ আমিরুজ্জামান কাপ্তাইয়ে রুপসী কাপ্তাইয়ের ৪০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে নানা আয়োজন খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট এর শুভ উদ্বোধন করলেন – ২০৩ পদাতিক খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান খাগড়াছড়ি বাইতুশ শরফ জব্বারিয়া আদর্শ আলিম মাদ্রাসায়  অভিভাবক সম্মেলন অনুষ্ঠিত মহালছড়ি উপজেলা বাজারে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করেছে বিশেষ টাস্কফোর্স কমিটি রামগড়ে জামায়াতে ইসলামের কর্মী ও সুধী সমাবেশ   সাফ জয়ী জাতীয় দলের কৃতি ফুটবলার মনিকা চাকমাকে সংবর্ধনা দিলেন সেনাবাহিনীর গুইমারা রিজিয়ন ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কাপ্তাইয়ে অনুষ্ঠিত হলো জোন কমাণ্ডার’স স্কলারশিপ খাগড়াছড়ি ক্বওমী মাদরাসা ও ওলামা ঐক্য পরিষদ রামগড় উপজেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল সম্পন্ন ঐতিহ্য ফিরে আসুক বান্দরবানে-থানজামা লুসাই রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগ লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত বাঙ্গালহালিয়া ভিমাছড়া সার্বজনীন শ্রী শ্রী পঞ্চায়েত সংঘের উদ্যোগে গীতা পাঠ

রোয়াংছড়িতে আতঙ্কে গ্রাম ছাড়া ৯০ পরিবার

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ব্যুরো প্রধান, বান্দরবান: / ৭৭৬ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : শনিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৩

রোয়াংছড়ি উপজেলায় সন্ত্রাসী দুই গ্রুপের বন্দুক যুদ্ধে ৮ জন নিহতের ঘটনায় পুরো এলাকা থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ইতিমধ্যে রোয়াংছড়ি উপজেলা খামতাং পাড়ায় মোট ৯০টি পরিবার আতঙ্কে গ্রাম ছেড়েছেন। খেয়াং জনগোষ্ঠীর বসবাসকৃত এই পাড়াটি অর্ধেক পড়েছে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আর অর্ধেক পড়েছে রুমা উপজেলায়।

গত ৬ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক ও কুকিচিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) দুই গ্রুপের বন্দুক যুদ্ধে ৮ জন নিহতের ঘটনায় পুরো এলাকা জনশুন্য হয়ে পড়েছে। গ্রামবাসীরা যারা রুমা উপজেলায় পড়েছে ২০ পরিবার পুরুষ-৩১ জন, নারী-৩০ জন শিশু ৩ জন মোট ৬৪ জন সকালে পায়ে হেটে রুমা উপজেলা সদরে বিকেলে পৌঁছে বম সোশ্যাল কাউন্সিলে আশ্রয় নিয়েছে। অন্যদিকে নারী, পুরুষ, শিশুসহ ১৭৪ জন রোয়াংছড়ি উপজেলায় রোয়াংছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যলয়ে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানা গেছে।

এই ঘটনাস্থল খামতাং পাড়া সাবেক পাড়া প্রধান (কারবারি) পুতুলি খিয়াং বলেন, গতকাল রাতে খাবার শেষে ঘুমোতে যাচ্ছিলাম। এমন সময় পাড়ার পাশের বনের ভেতর থেকে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ পেয়ে প্রাণের ভয়ে পড়নে কাপড় দিয়ে যে যেদিকে পারে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছি। এভাবে সারারাত জঙ্গলে লুকিয়ে থেকে রোয়াংছড়ি উপজেলায় পালিয়ে এসেছেন বলে জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, রুমা ও রোয়াংছড়ির দুই উপজেলার তিনটি গ্রাম খামতাং প্রাংসা পাড়া, পাইক্ষ্যং খামতাম পাড়া, খমংক্ষ্যং পাড়া মিলে ৯০ টি পরিবার নিয়ে খেয়াং জনগোষ্ঠীর পাড়া। এর আমরা ৬৪ জনের অধিক রুমায় আশ্রয় নিয়েছি। আর বাকিরা নাকি রোয়াংছড়ি উপজেলায় আশ্রয়ের জন্য পালিয়ে গেছেন বলে শুনেছি।

রুমা উপজেলা পাইন্দু ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উহ্লা মং মারমা বলেন, খামতাং পাড়াটি তার ইউনিয়নে ৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার শিশুসহ ৬৪ জন সকাল থেকে পায়ে হেটে রুমা উপজেলা সদরে এসে পৌঁছলে প্রশাসনের সহায়তায় বম সোশ্যাল কাউন্সিলে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।

রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার খোরশেদ আলম চৌধুরী জানান, খামতাং পাড়া থেকে নারী, পুরুষ ও শিশু মিলে ১৭৪ জনকে রোয়াংছড়ি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে অন্যদিকে রুমা উপজেলায় ৬৪ জনকে বম সোশ্যাল কাউন্সিলে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের সমন্বয়ে পালিয়ে আসা লোকজনকে খাবার, কাপড় যাবতীয় সাহায্য করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এম/এস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ