নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে কাঠ কুড়াতে গিয়ে স্থলমাইন বিস্ফোরণে মোঃ সুরুত আলম (৪৮) নামে এক কাঠুরিয়ার পা বিচ্ছিন্ন ও মুখমণ্ডল জ্বলসে গেছে।
আহত সুরুত আলম উপজেলা সদর ইউনিয়নের চাকঢালা ৬নং ওয়ার্ডের চেরারমাঠ এলাকার মৃত বাচা মিয়ার ছেলে।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দুপুর বেলা উপজেলার চাকঢালা এলাকার চেরার মাঠ সীমান্তের ৪৪ পিলারের কাছাকাছি এবং মিয়ানমারের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।
সূত্রে জানা যায়, নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি অধিনস্থ চাকঢালা বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সীমান্ত পিলার ৪৪/৩ এস হতে মিয়ানমার অভ্যান্তরে বিজিপি পুরান মাইজ্যা ক্যাম্প দায়িত্বরত এলাকায় একটি মাইন বিস্ফোরণ হয়। এতে বাংলাদেশের সুরুত আলম নামে এক কাঠুরিয়ার বাম পাশের পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন হয়ে গুরুত্বর আহত হয়।
তাৎক্ষণিক এলাকাবাসী খবর পেয়ে তাকে সীমান্ত থেকে উদ্ধার করে প্রথমে নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুত্বর আহত দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য পরার্মশ দেন।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, (৪ এপ্রিল ) দুপুর বেলা উপজেলার চাকঢালা এলাকার চেরার মাঠ সীমান্তের ৪৪ পিলারের কাছাকাছি এবং মিয়ানমারের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে। আহত ব্যাক্তির পুরো মূখমন্ডল জ্বলসে এবং বাম পায়ের গোড়ালি উড়ে যায় বলে জানা যায়।
স্থানীয়রা জানান, চাকঢালা চেরার মাঠ সীমান্তের ৪৪ পিলার দিয়ে মিয়ানমারের ওপার থেকে জ্বালানি কাঠ আনতে গিয়ে মোঃ সুরুত আলম এর সাথে এ দূর্ঘটনা ঘটে। মাইন বিস্ফোরণে তার মূখমন্ডল জ্বলসে এবং বাম পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এছাড়া স্পর্শকাতর অঙ্গসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখমের চিহ্ন দেখা গেছে বলে জানান।
এম/এস