• শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:৫৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম
নির্বাচন কমিশনের পরিপত্রের জটিলতায় গুইমারাতে নতুন ভোটার হতে পারছেনা বাঙালীরা গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ দীঘিনালায় স্কাউটস এর ত্রি- বাষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত রামগড়ে গভীর রাতে পাহাড় কাটার দায়ে ২ ব্যক্তির তিন লাখ টাকা জরিমানা  মহালছড়ি থানা পুলিশের বিশেষ অভিযান, আওয়ামীলীগ নেতা গ্রেফতার পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টার সাথে ঢাকায় নিযুক্ত কোরিয়ান রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ বান্দরবানে ৩০ জানুয়ারি উদ্বোধন হতে যাচ্ছে গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বান্দরবানে ওএমএস কার্যক্রম পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক মাইসছড়িতে আগুনে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান জেলা প্রশাসকের খাগড়াছড়িতে আসছেন সাঈদীর কন্ঠের ওয়ায়েজ মাওলানা গোলাম আযম সিন্দুকছড়ি জোনের মানবিক সহায়তা ও বিনামূল্যে মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন পরিচালনা খাগড়াছড়ির দুর্গম জনপদে মাটিরাঙ্গা সেনা জোনের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন

মাদ্রাসা ছাত্রকে ভয়াবহ শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ব্যুরো প্রধান, বান্দরবান: / ৭৩৩ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : বুধবার, ২২ মার্চ, ২০২৩

বান্দরবানের লামা উপজেলায় একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসায় দুষ্টুমির শাস্তি হিসেবে ইয়াছিন রহমান ইয়ামিন নামে ৫ বছরের এক শিশু ছাত্রকে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসা শিক্ষক মোঃ আবচার (৩২) এর বিরুদ্ধে। বুধবার (২২ মার্চ) বিকেলে নির্যাতনের শিকার শিশুটির শরীরের মারধরের ক্ষতবিক্ষত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় নিন্দার ঝড় ওঠে। সে পার্শ্ববর্তী লোহাগাড়া উপজেলার পুটিবিলা এলাকার মোঃ মনির এর ছেলে।

মারধরের শিকার শিশু ইয়ামিন এর নানী এবং সরই ইউনিয়নের ১,২ ও ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার খালেদা বেগম বলেন, হাফেজি পড়ার জন্য আমার নাতী ইয়াছিন রহমান ইয়ামিন কে লামার সরই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড রহমতখোলা শাহ আমজাদিয়া হেফজখানা ও এতিমখানায় দেয়া হয়। ২১ মার্চ মঙ্গলবার ভোরে ঘুম থেকে উঠে ইয়ামিন মাদ্রাসার পাশে খোলা জায়গায় মল ত্যাগ করায় শিক্ষক মোঃ আবচার তাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে সারা শরীর রক্তাক্ত করে ফেলে। ৫ বছরের ছোট শিশুটিকে মেরে আহত করেও তারা কোন চিকিৎসা করেনি। বুধবার বিকেলে বিষয়টি আমরা জানতে পারি।

এদিকে ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বুধবার রাত সাড়ে ৭টায় শিশুর স্বজনদের নিয়ে মাদ্রাসায় শালীসি বৈঠকে বসে। রহমতখোলা শাহ আমজাদিয়া হেফজখানা ও এতিমখানার প্রধান শিক্ষক মাওলানা মোঃ শাহজাহান বলেন, বিষয়টি সমাধানে শিশুটির অভিভাবক ও অভিযুক্ত শিক্ষক আবচার কে নিয়ে মাদ্রাসায় বসেছি।

স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মোহাম্মদ হোসেন বলেন, আমরা এখন মাদ্রাসায়। সামান্য কারণে এমন ভাবে মারধর করা ঠিক হয়নি। উক্ত শিক্ষককে রোজার একমাস পরে মাদ্রাসা থেকে বিদায় করে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

এম/এস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ