• শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
বিএনপির আগামীর রাজনীতি হবে বাংলাদেশের মানুষ ও তারুণ্যের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশাকে প্রাধান্য দিয়ে- আমীর খসরু বানভাসিদের জন্য রাজারবাগ দরবার শরীফের মেডিকেল ক্যাম্পেইন খাগড়াছড়িতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সাত দিনের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে রেড ক্রিসেন্ট আরাফাত রহমান কোকোর স্মৃতি স্মরণে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত কাচালং নদীতে গোসল করতে নেমে এক কিশোরী নিখোজ নবীনগরে উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ,র ৫২ তম মৃত্যু বার্ষিকী পালন মানিকছড়িতে মারমা কল্যাণ সমিতির মতবিনিময় ও আলোচনা সভা মানিকছড়িতে মারমা ঐক্য পরিষদের মতবিনিময় সভা জেলার ত্রাণ তহবিলে নানিয়ারচর বিএনপির অর্থ জমা লংগদুতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শতাধিক পরিবারের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করে সেনা জোন লংগদুতে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত লংগদুতে ইউপি সদস্য রূপচান,র, পদ ত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন

বাঘাইছড়িতে বিদ্যুৎহীনতায় ভুগছে প্রায় ৫-হাজার পরিবার- সুষ্ঠু নজরদারি নেই বিদ্যুৎ বিভাগের

ইউনুছ আরফিন,বাঘাইছড়ি / ১১০৭ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : শুক্রবার, ৭ আগস্ট, ২০২০

ইউনুছ আরফিন,বাঘাইছড়ি : রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলা সদর থেকে ৩৫কিঃমিঃ দূরে আমতলী ইউনিয়ন যেখানে আজ অবধি পৌঁছায়নি বিদ্যুৎ এর আলো।  স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ভুক্তভোগী পরিবারের সন্তানদের অনেকেই ২১হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এর এ যুগে হারিকেন জ্বালিয়ে পড়ালেখা করেন আবার কেউ বা সৌরবিদ্যুতের আলোয়। অনেক প্রতিকূলতা ডিঙিয়েও  মসজিদ সহ উপাসনালয় গুলোতে ধর্ম পালন করতে হয়, রাতের কুচকুচে অন্ধকারে উপাসনালয়ে আসা-যাওয়া,  দিনে সূর্যের তীব্র গরমে ধর্ম পালন করা অনেকটাই কষ্টসাধ্য হয়ে পরে । এদিকে স্কুলগুলোতে কাঠফাটা রোদের মধ্যে পাখাহীন কক্ষে ক্লাস করতে হয় ছাত্র,ছাত্রীদের।

উল্লেখিত বিষয়ে আমতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাসেল চৌধুরী’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন: আমার নির্বাচিত এলাকায় ৪-হাজার পরিবার রয়েছে এর মধ্যে প্রায় পরিবারকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া সোলার দিয়েছি কিন্তু এখনো অনেক পরিবারের ছেলে মেয়েরা হারিকেন জ্বালিয়ে পড়ালেখা করে, যা নিম্ন আয়ের কৃষিজীবী মানুষের পক্ষে খুবই কষ্টকর। এখানকার ছেলে-মেয়েরা খুবই শিক্ষানুরাগী, বিদ্যুৎ এর ছোঁয়া পেলে ঠিকমতো পড়াশোনা করে ভালো ফলাফলে উত্তীর্ণ হয়ে বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবে বলে আমি মনে করি।তিনি আরও বলেন  আমার পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন ‘সারোয়াতলী’ যা সদর থেকে ১০কিঃমিঃ দূরে যেখানে বিদ্যুৎ রয়েছে, সরোয়াতলী ইউনিয়ন থেকে ১৫কিঃকিঃ সামনে আগালেই আমার এলাকাটি আলোকিত হবে। এর জন্য প্রয়োজন স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগের সু-নজর।

এছাড়াও বাঘাইছড়ি পৌরসভার হাতের নাগালে  ৫টি গ্রামে নেই বিদ্যুৎ, এ নিয়ে জনপ্রতিনিধিরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বাঘাইছড়ি পৌর মেয়র জনাব মো: জাফর আলী খান বলেন: ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া আমাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিলো, কিন্তু আমি জনগণকে ওয়াদা দিয়ে ওয়াদা রক্ষা করতে পারিনি। আমি আশা করি মাননীয় এমপি মহোদয় একটু সু-নজর দিলে আমার পৌর এলাকাটি আলোকিত হবে।

এ বিষয়ে বাঘাইছড়ি আবাসিক প্রকৌশলী বিদ্যুৎ (আর ই) সুগত চাকমার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন: তিন পার্বত্য জেলার বিদ্যুৎতায়নের জন্য  রাঙামাটি চম্পক নগরে অফিস আছে, সেখানে আবেদন করলে  বিদ্যুৎ লাইন পাবে বলে আশা করি। ভুক্তভোগীরা আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বিদ্যুৎ পাবে বলে, আপনি মনে করেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি ব্রাঞ্চ ও ঠিকাদার বলতে পারবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ