পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার মং সার্কেলের ৫ম রাজা মংপ্রু সাইন বাহাদুরের প্রজা কর্তৃক কুড়িয়ে পাওয়া সত্য বুদ্ধ মুর্তি স্মরণে আয়োজিত মেলার ৬৩ তম আসরে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ির রাজ জেতবন বৌদ্ধ বিহার প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত মেলায় গতকাল ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার ৭-৮ হাজার লোকের সমাগমে মেলা ও রাজ জেতবন বিহার প্রাঙ্গন জমে উঠে। প্রতি বছর বৌদ্ধশাস্ত্রমতে কার্তিকের পূর্ণিমার দিনের এ সত্য বুদ্ধ মেলায় বুদ্ধ কিশোর-কিশোরী ও নারী-পুরুষেরা বিহারে বাতি জ্বালিয়ে বিশ্বশান্তির মঙ্গল কামনায় সামিল হওয়ায় মেলার ৬৩তম আসর বেশ জমে উঠেছে।
মেলা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও পাড়া প্রধান(কার্বারী) চলাপ্রু মারমা আজকের পত্রিকাকে বলেন,, ১৯৫৪ সালের কোন এক সময় তৎকালীণ মংরাজা মংপ্রু সাইন বাহাদুর খাগড়াছড়ির জেলার গুইমারা উপজেলা চাইংগুলি পাড়ার অরণ্যে এক প্রজা কর্তৃক কুড়িয়ে পাওয়া বুদ্ধমর্তিটি মংরাজ বাড়ীর “রাজ জেতবন বৌদ্ধ বিহারে” প্রতিস্থাপনের পর হতে বৌদ্ধশাস্ত্রমতে কার্তিকের এই পুর্ণিমার দিনে সত্য বুদ্ধ মেলা পালিত হয়ে আসছে। বৈশ্বিক মহামারী করোনার ধকলে গত দুই বছর মেলার আনুষ্ঠানিকতা বন্ধ থাকায় এবার ৬৩ তম আসরে বৌদ্ধধর্মালম্বী শিশু,কিশোর-কিশোরী ও নারী-পুরুষেরের উপচেপড়া ভীড় সামলাতে স্বেচ্ছাসেবীরা বেগ পেতে হয়েছে।
৭ নভেম্বর দুপুরের পর রাজবাড়ীর অলিগলিতে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। ‘সত্য বুদ্ধ’কে প্রণাম করে বিশ্বশান্তি কামনায় পূজা-অর্চনায় বৌদ্ধধর্মালম্বীরা বিহারে বাতি জ্বালিয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার মধ্যে মেলা শেষ করার প্রশাসনিক নির্দেশ থাকলেও যথাসময়েও মানুষের ঢল সামাল দিতে পারিনি। তবে ৭টার আগেই মেলা প্রাঙ্গন জনশুন্য করার আপ্রাণ চেষ্টা থাকবে।
এদিকে মেলা চলাকাল দুপুরে মেলা পরিদর্শন করেছেন,৩ ফিল্ড রেজিঃ আর্টিঃ সিন্দুকছড়ি জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল সৈয়দ পারভেজ মোস্তফা, পিএসজি, জি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) রক্তিম চৌধুরী, জেলা পরিষদ সদস্য রেম্রাচাই চৌধুরীসহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। এ সময় প্রয়াত মংরাজা মংপ্রু সাইন বাহাদুর’র দৌহিত্র(নাতি) কুমার সুইচিংপ্রু প্রকাশ মেঝ কুমার অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান।
এম/এস