রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে স্কুল ছাত্র মিরাজের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার মানবন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে তার সহপাঠীরা। এর আগে নিখোঁজ হওয়ার ৫দিন পর দুর্গম পদ্মার চর থেকে মিরাজের গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মিরাজের বাবা সিরাজ খান অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের আসামী করে থানায় মামলা করেছে।
সাইফুর রহমান পরেভেজ গোয়ালন্দ
হস্পতিবার (১০ আগস্ট) সকাল ১০টায় স্কুলছাত্র মিরাজের হত্যাকারিদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুলে সামনে ঘন্টা ব্যাপী বিশাল মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে তার সহপাঠীরা।
এসময় খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বক্তব্য রাখেন, দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহম্মদ শহিদুল ইসলাম, সহকারী প্রধান শিক্ষক মেহেদী আবু হাসান, শিক্ষক সুরাইয়া পারভীন, শামীম শেখ, দশম শ্রেণির ছাত্র কাউছার মাহমুদ, সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী কানিজ সুবর্ণা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের উত্তর চর পাচুরিয়া গ্রামের দরিদ্র কৃষক সিরাজ খানের ছেলে ও দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র মিরাজ গত ২৭ আগস্ট নিখোঁজ হয়। এর ৫ দিন পর ২ সেপ্টেম্বর গোয়ালন্দ উপজেলায় দেবগ্রাম ইউনিয়নের পদ্মা নদীর তীরবর্তী দুর্গম চর কাওয়ালজানি এলাকা থেকে স্কুল ছাত্র মিরাজের গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
লাশ উদ্ধারের পর সেখানে মিরাজের মা হাসনা বেগমসহ পরিবারের সদস্যরা গেলেও তখন তারা লাশটি মিরাজের বলে সনাক্ত করতে পারেনি। কাঁদামাটির মধ্যে পুতে রাখা লাশটি এতোটাই বিকৃত ছিল যে সাধারণভাবে তা চেনার সুযোগ ছিল না। তারপরও মিরাজের কপালের উপরে কাটা দাগ ও পরনের হাফপ্যান্ট দেখে তারা নিশ্চিত হয় লাশটি মিরাজের।
এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, পুলিশ মিরাজের নিখোঁজ হওয়া ও হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে অধিক গুরুত্ব দিয়ে তদন্তকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ক্লুলেস হত্যাকান্ড হলেও আশাকরি দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।