‘কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মূলমন্ত্র, শান্তি-শৃঙ্খলা সর্বত্র’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে শনিবার (২৯ অক্টোবর) মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের উদ্যোগে কমিউনিটি পুলিশিং ডে’২২ উপলক্ষ্যে এক বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এসময় বর্ণিল সাজে সজ্জিত করা হয় মাটিরাঙ্গা থানা কম্পাউন্ড। সকাল ১০ টায় মাটিরাঙ্গা থানা কম্পাউন্ড থেকে আকাশে বেলুন উড়িয়ে সূচিত হয় দিনটির উদযাপন। এরপর শুরু হয় এক বর্ণাঢ্য র্যালি। র্যালিটি মাটিরাঙ্গা থানা কম্পাউন্ড থেকে শুরু হয়ে মাটিরাঙ্গা বাজার মুক্তিযোদ্ধা চত্ত্বর অতিক্রম করে মাটিরাঙ্গা পৌরসভা গেইট হয়ে পুনরায় থানা কম্পাউন্ডে এসে সম্পন্ন হয়। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার সর্বস্তরের জনগণ এই র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক শ্লোগান সম্বলিত ব্যানার, পেস্টুন শোভা পায় র্যালিতে অংশগ্রহণকারী সকলের কাছে। বাদক দলের মনোরম সুর লহরীতে র্যালিটি আরো প্রানবন্ত ও আকর্ষণীয় হয়ে উঠে।
অনুষ্ঠানের ২য় পর্বে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আলী‘র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাটিরাঙ্গা আদর্শ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী
পুলিশ সুপার (মাটিরাঙ্গা সার্কেল) মো. মিজানুর রহমান, মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজ তৃলা দেব,মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মোঃ শামসুল হক,খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রইচ উদ্দিন, মাটিরাঙ্গা সরকারী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ প্রশান্ত কুমার ত্রিপুরা ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ চাকমা, ভাইস চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান ডালিম, প্রেস ক্লাব সভাপতি এম এম জাহাঙ্গীর আলম ও জনপ্রতিনিধি প্রমুখ।
জনগণের দ্বার প্রান্তে সেবা পৌঁছে দিতেই কমিউনিটি পুলিশিং সৃষ্টি এমন মন্তব্য করে বক্তারা বলেন, এতে করে পুলিশ ও জনগণের মাঝে ভ্রাতৃত্ববোধ তৈরি হয়েছে। সমাজ থেকে বাল্য বিবাহ, মাদক নির্মূল, নারী নির্যাতন, ইভটিজিং, কিশোর গ্যাং অপরাধ, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা নির্মূল করতে পুলিশকে আরো বেশি সহযোগিতা করতে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সদস্যদের আহ্বান জানান। কমিউনিটি পুলিশিং পুলিশ ও জনতার মধ্যে সেতু বন্ধন রচনা করেছে। তারা বলেন, আমাদেরকে আত্মমর্যাদাশীল জাতি হতে হলে সবার আগে আত্মমর্যাদাশীল সমাজ গঠন করতে হবে। সেই সমাজটা হতে হবে অপরাধমুক্ত। আর অপরাধমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে বাংলাদেশ পুলিশের অবদান অস্বীকার্য। এজন্যই কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করতে হবে।
যেকোন সংঙ্কটময় সময়ে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের প্রতিটি সদস্য খুবই আন্তরিকতার সাথে কাজ করে মন্তব্য করে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আলী বলেন, দেশের যেকোনো ক্রান্তিকালীন সময়ে জনগণের পাশে থেকে সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করার প্রত্যয়ে বদ্ধপরিকর মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ । মাটিরাঙ্গা থানার প্রধান ফটক থেকে শুরু করে প্রতিটি দরজা সাত দিন ২৪ ঘন্টা জনগণের সেবার জন্য খোলা আছে । সেবার মহান ব্রত নিয়েই কাজ করছে প্রতিটি পুলিশ সদস্য।’
বর্ণাঢ্য এ আয়োজনে পুলিশের পাশাপাশি আনসার-ভিডিপি সদস্য, গ্রাম পুলিশের সদস্য, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সদস্য, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক-সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, মসজিদের ইমাম, পুরোহিত, সমাজকর্মী সহ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এম/এস