তুমব্রু সীমান্তে বসবাসকারী লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার জন্য সম্ভাব্য স্থান নির্ধারণে প্রতিনিধি দলটি সীমান্ত এলাকা সফর করেছেন বলে প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুনধুম, তুমব্রু, ফাত্রাঝিড়ি,রেজু আমতলি এলাকায় সীমান্ত ঘেঁষে বসবাসকারী ৩০০ পরিবারকে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য কোর কমিটির বৈঠকের পর প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে এ বিষয়ে এখনও কোন কিছু জানা যায়নি।
তবে প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন তুমব্রু বাজারের কোনাপাড়া এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী কিছু পরিবারকে আপাতত ঘুনধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনে সরিয়ে নেওয়া হতে পারে। জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি জানিয়েছেন সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদে রাখতে প্রশাসন সর্বাত্মক ব্যবস্থা নিয়েছে।
এদিকে তুমব্রু ঘুনধুম সীমান্তের পরিস্থিতি এখনো থমথমে রয়েছে। রবিবার গভীর রাত থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত থেমে থেমে গুলির আওয়াজ শোনা গেছে সীমান্তের ওপার থেকে। তবে সীমান্তে কোন যুদ্ধবিমান অথবা হেলিকপ্টার উড়তে দেখা যায়নি। নতুন করে কোন মটার সেল নিক্ষেপ করা হয়নি। সীমান্তে গুলির আওয়াজে সেখানকার লোকজনদের মধ্যে আতঙ্কাবস্থা বিরাজ করছে। সীমান্তে নিরাপত্তায় বিজিবির সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে বিজিবির টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এম/এস