খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ (প্রসীত-গ্রুপ) এর সংগঠক ও এরিয়া কমান্ডার হত্যার প্রতিবাদে পাঁচ উপজেলায় সংগঠনটির ডাকা আধাবেলা সড়ক অবরোধ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। জেলার গুইমারা, মাটিরাঙ্গা, রামগড়, মানিকছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় রোববার সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে এ অবরোধ। এ সময় চলাচল করেনি কোন ধরণের যানবাহন। অভ্যন্তরীন সড়ক ছাড়াও ছয় ঘন্টা বন্ধ ছিলো খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি-ফেনী-ঢাকা রুটের সকল পন্য ও যাত্রীবাহি পরিবহন।
এর আগে ভোরে গুইমারা ও রামগড়ে বিচ্ছিন্নভাবে পিকেটিং করেছে ইউপিডিএফ কর্মীরা। বাইল্যাছড়িতে সড়কের উপর ইট ফেলে আগুন দেয়ার চেষ্টা করে পিকেটাররা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পালিয়ে যায় তারা। ভোরে যৌথ খামার এলাকায় অবরোধ শুরু হওয়ার আগেই সড়কে ইট ও গাছের গুড়ি ফেলে পেট্রোল দিয়ে আগুন দেয় অবরোধকারীরা।
অবরোধে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে উপজেলাগুলোর বিভিন্ন স্থানে পুলিশি তৎপরতা জোরালো ছিলো। পুলিশের পাশাপাশি টহলে ছিলো আইন-শৃংখলাবাহিনীর সদস্যরা। পুলিশ পাহারায় গন্তব্যে পৌঁছে দেয়া হয়েছে পর্যটকসহ জরুরী প্রয়োজনে বের হওয়া যানবাহনগুলোকে।
পুলিশ জানায়, বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন ছাড়াও টহলে ছিলো পুলিশের একাধিক টহল টিম। অধিককতর সতর্ক থাকায় কোনধরনের সহিংসতা ঘটাতে পারেনি অবরোধকারীরা।
এদিকে, অবরোধ বিরোধী ও পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ-জেএসএসসহ শাখা সংগঠনগুলোর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধে বিক্ষোভ হয়েছে মানিকছড়িতে। পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ ব্যানারে মানিকছড়ি গিরি মৈত্রী কলেজ শাখার উদ্যোগে মিছিল বের করে উপজেলার আমতল এলাকায় গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সকাল পৌনে ১০টার সময় গুইমারার দেওয়ান পাড়া এলাকার মিশন টিলা থেকে অংথোয়াই মারমা ওরফে আগুনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীদের দায়ী করে প্রসীত বিকাশ খীসা নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ।
এম/এস