লামা উপজেলার গজালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে দুর্নীতি দমন কমিশন ও স্কুল পরিচালনা কমিটির বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন প্রার্থীরা।
এদিকে আজ বুধবার (২৪ আগস্ট) দুপুর ১টায় লামা রিপোর্টার্স ক্লাব হলরুমে নিয়োগে অনিয়মের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে নিরাপত্তা কর্মী পদে এক প্রার্থী জয়নাল হোসেন। এসময় তার স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি গজালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মী পদের একজন প্রার্থী। আমার রোল নং- ০৭। গত ২২/০৮/২০২২ ইং তারিখে গজালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দু’টি পদে কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই নিয়োগ পরীক্ষায় নিয়োগ কমিটির সদস্যরা হলেন ১. মিল্কী রানী দাশ, সভাপতি- ম্যানেজিং কমিটি, ২. মোঃ আজিজুল হক নিজামী, ডিজির প্রতিনিধি/সহকারী শিক্ষক, লামা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ৩. সরিৎ কুমার চাকমা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, লামা, ৪. উসুইঞোয়াই মার্মা, শিক্ষানুরাগী সদস্য, ম্যানেজিং কমিটি, ৫. বিশ্বনাথ দে, সদস্য সচিব/প্রধান শিক্ষক, গজালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়।
বর্ণিত তারিখে অনুষ্ঠিত কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষায় নিরাপত্তা কর্মী পদে ৬ জন প্রার্থী অংশ গ্রহণ করেছেন। লিখিত পরীক্ষার ফলাফলে পরিকল্পিতভাবে আমাকে কম নম্বর দেখানো হলেও তথাপি আমি সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় নিয়োগ কমিটির সদস্যরা আমাকে পরিকল্পিতভাবে মৌখিক পরীক্ষায় আমার যোগ্যতাকে উপেক্ষা করেছে। নিয়োগ কমিটির সদস্যগণ অনৈতিকতার কাছে প্রভাবিত হয়ে এ নিয়োগ কমিটির একজন সদস্যের আত্মীয়কে (লিখিত পরীক্ষায় কম নম্বর প্রাপ্ত) মৌখিক পরীক্ষায় বেশী নম্বর দেখিয়ে নিয়োগ প্রদানের জন্য সুপারিশ করেছে।
গজালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্বনাথ দে কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষার পূর্বে সুপারিশকৃত প্রার্থীর পক্ষে বিভিন্নভাবে তদবীর করেছে। প্রধান শিক্ষকের তদবীরের বিষয়টি এলাকার অনেকেই জানে। এমনকি প্রধান শিক্ষক সুপারিশকৃত প্রার্থীর বাসায় ইতোপূর্বে দাওয়াত খেয়ে চাকুরী নিশ্চয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সুপারিশকৃত প্রার্থীর লিখিত পরীক্ষার খাতা যাচাই করলে ফলাফল জালিয়াতির বিষয়টি প্রমাণিত হবে। মহোদয় তদন্তকালে লিখিত পরীক্ষার সকল খাতাসমুহ ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বর যাচাই করলে নিয়োগ কমিটির সদস্যদের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি প্রমাণিত হবে।
জয়নাল হোসেন সহ আরো কয়েকজন প্রার্থী এই অবৈধ নিয়োগ বাতিল করে পুণরায় নিয়োগ প্রদানে সরকার ও সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করেন।
এম/এস