বাবার কোলে কালো চশমা পরা শ্রান ত্রিপুরা বয়স মাত্র ৫ ছুঁই ছুঁই। দীঘিনালা উপজেলাধীন জামতলী মায়াফা পাড়া এলাকার দিনমজুর পিতা মহেন ত্রিপুরা ও মাতা শারীরিক প্রতিবন্ধী খমিতা ত্রিপুরার ঘরে জন্ম তাঁর।
ফুটফুটে শ্রান ত্রিরার দীর্ঘ ৩ মাস আগে হটাৎ করে অজানা কোন সমস্যার কারণে দুটি চোখেই দেখতে পান না। ফুটফুটে শ্রান যেখানে পুরো বাড়িটি মাতিয়ে রাখতো অজানা কোনো সমস্যার কারণে আজ সে চোখেই দেখতে পাচ্ছে না।
শ্রান ত্রিপুরার বাবা মহেন ত্রিপুরা জানান, আমার ছেলে শ্রান ত্রিপুরা বিগত ৩ মাস আগে অজানা কোনো সমস্যার কারণে দুটি চোখেই দেখতে পান না। এদিকে আমার স্ত্রী খমিতা ত্রিপুরাও একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী ভালো করে হাঁটতে পারেনা। আমার ছেলেকে ডাক্তারের পরামর্শে উচ্চ চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতালে নিলে ডাক্তার ছেলের দুটি চোখই অপারেশন করতে হবে বলে জানান।
আমি বাসার গৃহপালিত পশু বিক্রি করে কোনো রকমে ছেলের একটি চোখ অপারেশন করিয়েছি। আরেকটি চোখ ১২ জুলাই ২০২২ তারিখে চট্টগ্রাম পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতালে অপারেশনের কথা রয়েছে। আমি দিনমজুর হওয়ায় আমার পক্ষে ছেলের চোখের অপারেশনের খরচ যোগাতে ব্যহত হয়ে পড়েছি, ১২ জুলাই টাকা জোগাড় করতে না পারলে আমার ছেলের চোখের অপারেশন হবে না । এমতাবস্থায় আমি আমার ছেলের চোখের অপারেশনের জন্য স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের সচেতন ব্যক্তিদের মানবিক দৃষ্টি কামনা করছি।
এম/এস