গোয়ালন্দে ঝুঁকি নিয়ে রেলব্রীজ দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন চলাচল করছে। ঝুঁকি এড়াতে গত বছর রেলব্রিজের পাশে ২১ লাখ টাকা ব্যায়ে একটি ব্রিজ নির্মান করা হয়। কিন্তু ব্রিজটির দুপাশে ঠিকমতো সংযোগ সড়ক নির্মান না করায় ব্রিজটি ঠিকমতো ব্যাবহার করা যাচ্ছে না।
জানা গেছে, গোয়ালন্দ বাজার ও গোয়ালন্দ ঘাট রেলওয়ে ষ্টেশনের মাঝে গোয়ালন্দ শ্মশানঘাট এলাকায় একটি রেলব্রিজ রয়েছে। সেখান দিয়ে স্হানীয় নতুন পাড়া,তোরাপ শেখের পাড়া ও ফকির পাড়ার লোকজনকে প্রতিনিয়ত গোয়ালন্দ বাজারে আসা-যাওয়া করতে হয়। এছাড়া গোয়ালন্দ শহর এলাকা হতে শ্মশানে যাতায়াতের একমাত্র পথও সেটি।পাশাপাশি দৌলতদিয়া ঘাটে যানজট সৃষ্টি হলে রিক্সা,অটোরিক্সার মতো বহু ছোট যানবাহন দৌলতদিয়া ঘাটে যাওয়া- আসা করতে এই রাস্তাটি বিকল্প হিসেবে ব্যাবহার করে।এর গুরুত্ব বিবেচনায় গোয়ালন্দ পৌর কতৃপক্ষ কয়েক বছর আগে রেলের পাশ দিয়ে ২ কিলোমিটারের মতো পাকা সড়ক নির্মান করে।
শ্মশানঘাট সংলগ্ন রেল ব্রীজে ঝুঁকি এড়াতে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে ২১ লাখ টাকা ব্যায়ে ২৬ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি আরসিসি ব্রিজ নির্মান করে।
কিন্তু ব্রিজটির দুইপাশের সংযোগ সড়কে অল্প কিছু মাটি ফেলে সরু করে তৈরি করায় এবং গাইড ওয়াল না দেয়ায় মাটি ধ্বসে গেছে। এতে করে ব্রিজটি ঠিকমতো ব্যাবহার করা যাচ্ছে না। সেখান দিয়ে চলতে গিয়ে ঘোড়ার গাড়ি,রিক্সা ও অটোরিকশা উল্টে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। বাধ্য হয়ে যাত্রী ও চালকরা আগের মতোই ঝুঁকি নিয়ে রেলব্রিজের পাশ দিয়ে যাতায়াত করছে।
স্হানীয় বাসিন্দা দোয়াত আলী শেখ, ঘোড়ার গাড়ি চালক সবুজ ফকির সহ কয়েকজন জানান, নতুন ব্রিজের দুই পাশের রাস্তায় গাইড ওয়ালসহ আরো চওড়া করে করার দরকার ছিল। তা না করায় এখানে প্রতিনিয়ত ছোটখাট দূর্ঘটনা ঘটছে।
অটোরিকশা চালক আজাদ মোল্লা (৪০) সহ কয়েকজন বলেন,তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাধ্য হয়ে রেলব্রিজের পাশ দিয়েই চলাচল করছেন। সেখান থেকে হঠাৎ গাড়ি উল্টে গেলে নিচে পড়লে প্রানহানির আশংকা রয়েছে।
গোয়ালন্দ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু সাঈদ মন্ডল জানান,বন্যার কারনে ব্রিজটির সংযোগ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।নির্মাণের পর ব্রিজটি পৌর কতৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। পৌর মেয়রের সাথে আলোচনা করে সংযোগ সড়কের জরুরি সংস্কারের ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।