চরফ্যাসনে মালিকের দোকান ভিটা দখল নিতে ভাড়াটিয়া ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলায় মালিক পক্ষের কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,চরফ্যাশন উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাজারে রবিবার আবুল কালাম মেম্বার দীর্ঘদিন মালিকের ঘর ভাড়া নিয়ে ঔষধের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে৷
এলাকার কিছু কুচক্রী মহলের প্রচারনায় তিনি হঠাৎ ঘরভাড়া না দিয়ে দোকান ভিটা নিজের দাবি করে।
ঘর মালিকের মৃত্যুর পরে তার ওয়ারিশগনকে আবুল কালাম মেম্বর জানিয়ে দেয় এই ভিটার মালিক সে।
দীর্ঘ ভোগান্তির পরে দোকানরা গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও স্হানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানালে তারা সামাজিক ফয়সালায় ভিটার মালিক প্রকৃত মালিক আবুবকর সিদ্দিক গংদের বলে লিখিত রায় প্রদান করে।রায় অমান্য করে কালাম মেম্বর দোকান ভিটা ছাড়তে নারাজ।বিষয়টি ভোলা -৪ আসনের সংসদ সদস্যকে অবহিত করলে তিনি রায় কার্যকরের জন্য শশীভূশন থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।থানায় ভূক্তভোগিরা অবহিত করে রবিবার ভাড়াটিয়ার কবল থেকে দোকানভিটা মুক্ত করতে গেলে ভাড়াটিয়ার লোকজন মালিক পক্ষের উপর হামলা করে তাদের মোবাইল ও টাতা পয়সা নিয়ে যায়।
তাদের সন্ত্রাসী হামলায় ৭ জন গুরুতর আহত হযে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
দোকান ভিটার মালিক আবুবকর সিদ্দিক বলেন,রবিবারে সকালে আমার বাবার দোকান ভিটা অবিলন্বে ভাড়াটিয়াকে ছেড়ে দিতে বললে তারা আমাদের উপর অতর্কিতভাবে হামলা করে।পরে পুলিশ ঘটনাস্হলে পৌছে শান্তি শৃংখলা রক্ষার্থে এলাকবাসী ও দু’পক্ষের সম্মতি নিয়ে দোকান ঘরে তালা লাগিয়ে দেয়।পুলিশ জানায় সামাজিক মিমাংসা না হওয়া পর্যন্ত দোকান বন্ধ থাকবে।এদিকে এই শশিভূষণ থানায় উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনায় দইটি মামলার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
হাজারিগন্জ ইউপি চেয়ারম্যান জানান,স্হানীয়ভাবে গণ্যমাস্যব্যক্কিদের ফয়সালায় দোকানভিটার প্রকৃত মালিকানা স্বত্ব দিয়ে একটি শালিসি রোয়েদাদ নামা সৃস্টি করা হয়েছে।
মুলতঃ আবুল কালাম মেম্বার তার শশুর মৃত মৌলভী আশ্রাফ আলীর নিকট থেকে উক্ত দোকান ঘরটি দীর্ঘ ১০ বছর ভাড়া দিয়ে ঔষধের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে৷শশুরের মৃত্যুর পর ক্রয়সূত্রে তিনি দোকান ভিটার মালিক বলে দাবি করেন।তবে শালিশি ফয়সালায় আবুল কালাম মৃত মৌলভী আশ্রাফ আলীর কাছ থেকে ক্রয় করার কোন মুল কাগজপত্র দাখিল করতে পারেনি।দোকানভিটার বিপরিতে কিছু ফটোকপি দেখালেও তিনি মুলকপি দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় ভিটার প্রকৃত মালিক মৌলভী আশরাফ আলীর ওয়ারিশরা।এব্যাপারে রায় দেয়া হয়েছে।এদিকে আবুল কালাম মেম্বার বলেন, আমার শশুর জীবিত থাকা অবস্থায় এক হাজার টাকা মূল্যে এই ভিটা ক্রয় করেছি৷ ক্রয় সুত্রে এই দোকান ভিটার মালিক আমি৷
এ বিষয়ে আবুবকর সিদ্দিক বলেন, আবুল কালাম আমাদের দোকান ভিটার ভাড়াটিয়া।তিনি আমাদের দোকনের মালিকানা দাবি পাগলের প্রলাপ। তার দাবি করা এরচেয়ে বড় প্রতারণা আর কি হতে পারে।