রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে মেয়ে জয়গুন বেগমের (৩৫) হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও ন্যায় বিচারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন অসহায় বাবা-মা।
বুধবার (১ সেপ্টেম্বর)বেলা ১২ টায় গোয়ালন্দ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের দেওয়ান পাড়ায় নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন নিহত জয়গুনের পরিবারবর্গ।
এ সময় নিহত জয়গনের বাবা জয়নদ্দিন শেখ লিখিত বক্তব্যে বলেন , আমার মেয়ে মৃত জয়গন বেগমকে (৩৫) দৌলতদিয়া ইউনিয়নের চরকর্ণেশন আঙ্কের শেখের গ্রামের ইসলাম সরদারের ছেলে মুক্তার সরদারের (৪২) সাথে প্রায় ২০ বছর আগে বিয়ে দেই । তাদের সংসারে ১টি ছেলে ও ১টি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
গত ৩০/৬/২০২১ তারিখ দুপুরে পারিবারিক কলহের জের ধরে মুক্তার ও তার বোন আমেনা বেগম (৪৫) মিলে আমার মেয়েকে বেধরক পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ বিষয়ে আমি গত ০৪/০৭/২০২১ ইং তারিখ মুক্তার সরদার ও তার বোন আমেনা বেগমকে আসামি করে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করি। আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরছে। কিন্তু তাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না।
এ অবস্হায় আসামী ও তার আত্মীয় স্বজনেরা মামলা প্রত্যাহার করার জন্য আমাদেরকে নানাভাবে হুমকি-ধামকি প্রদর্শন ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এতে করে আমি ও আমার পরিবারের সকলেই নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। আমি আমার মেয়ের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও ন্যায় বিচারের প্রার্থনা করছি।
জয়গুন বেগমের হত্যার কারন জিজ্ঞেস করলে জয়নদ্দিন শেখ জানান, তার মেয়ে জামাই মুকতার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে এক যৌনকর্মীর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বাড়ি থেকে গরু-ছাগল,হাঁস-মুরগি, ফসলাদি বিক্রি করে ওই যৌনকর্মীর পেছনে খরচ করতে থাকে। ঠিকমতো বাড়িঘরেও আসত না।ওই যৌনকর্মীর কাছেই থাকত।এর প্রতিবাদ করায় সে (মুক্তার) আমার মেয়েকে প্রায়ই নির্যাতন করতো।ঠিকমতো ভরন-পোষন দিত না। এ নিয়েই তারা শেষ পর্যন্ত আমার মেয়েকে মেরে ফেলে।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান,আমরা আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছি।আশা তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে পারব।এ ছাড়া বাদী বা তার পরিবারের কাউকে যদি কেউ কোনরুপ হুমকি দিয়ে থাকে তাহলে তাদেরকেও চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।