মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, বান্দরবন ব্যুরো প্রধান:
লামা পৌরশহরের বাজারের একমাত্র পুকুরটি জবর দখলকারী সিন্ডিকেটের কবল থেকে এখনো রক্ষা হয়নি। গত দুই মাস আগ থেকে উপজেলা প্রশাসন পুকুরটি সংস্কার কার্যক্রম শুরু করলে একটি কুচক্রি মহলের ষড়যন্ত্রের কারণে সংস্কার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পুকুরের সংষ্কার কাজটি পুণরায় চালু পূর্বক পুকুরটি জনসাধারনের ব্যবহার উপযোগী করে দেওয়ার দাবীতে উপজেলা প্রশাসন ও বান্দরবান জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে মানববন্ধন করেছে লামা বাজার ব্যবসায়ীরা। রবিবার (২৪ নভেম্বর ২০২৪ইং) বিকাল ৪টায় লামা উপজেলা পরিষদের সম্মুখ প্রধান সড়কে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে লামা উপজেলার ২৯৩নং ছাগল খাইয়া মৌজার দাগ নং- ৩৫০,৩৫৩ ও ৩৫৪ নং দাগের মোট ০.৫৯ (ঊনষাট শতক) একর জায়গায় এই পুকুরটি বান্দরবান বাজার ফান্ডের অর্থায়নে খনন করা হয়। বর্ণিত দাগের ভূমি মালিক থেকে বাজার ফান্ড ৩৫০ ও ৩৫৩ নং দাগের ০.৪৫ (পয়তাল্লিশ শতক) একর জায়গা ক্রয় করে। ৩৫৪ নং দাগের ০.১৪ (চৌদ্দ শতক) একর জায়গাটি খাস এবং এই দাগের জায়গা পুকুরের মূল জলাশয়।
মানববন্ধনে ব্যবসায়ীরা জানান, যুগ যুগ ধরে মানুষ এই পুকুরটির পানি ব্যবহার করেছে। অযত্নে অবহেলায় গত দুই যুগ ধরে পুকুরটি ময়লা ও আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়। পুকুরের উত্তর, পূর্ব ও পশ্চিম পাশের জায়গা দখল করে পাঁকা ভবন ও কাঁচা ঘর নির্মাণ করে জবর দখলে রেখেছে অনেকে।
বক্তব্য চিকিৎসক ডাঃ দিলীপ কান্তি দাশ বলেন, পুকুরটি শত বছরের। এই পুকুর ছাড়া লামা বাজার ব্যবসায়ীদের পানির বিকল্প ব্যবস্থা নাই। যেকোন দুর্যোগে ও আপদকালীন মুহুর্তে এই পুকুরের পানি ছাড়া অন্য কোন পানির নাই। সম্প্রতি সময়ে লামা উপজেলা প্রশাসন পুকুরটি সংষ্কারে উদ্যোগ নেয়। পুকুরের পশ্চিম পাশে বিপ্লব দাশ নামে এক নামধারী সাংবাদিক পুকুরের সরকারি জায়গা দখল করে রাখে। পুকুরের চারপাশে সবাই পুকুরের জায়গা ছেড়ে দিলেও বিপ্লবকে একাধিকবার বলা সত্ত্বেও সে জায়গার দখল ছেড়ে দেয়নি।
তিনি আরো বলেন, এই ছেলেটি তার দখলকৃত জায়গা রক্ষায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে লামা বাজারের পাবলিক পুকুর সংস্কার কাজ বন্ধের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত মিথ্যা প্রচার করে সাম্প্রদায়িক উসকানি দিচ্ছে।
লামা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমানুল্লাহ এর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন লামা বাজারের প্রবীন ব্যবসায়ী ও চিকিৎসক ডাঃ দিলীপ কান্তি দাশ, ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিপুল কর্মকার। ব্যবসায়ী নেতারা তাদের বক্তব্যে জানান, বিপ্লব দাশ নামক জনৈক ব্যক্তি পুকুর সংস্কারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। সে পুকুর সংস্কার কার্যক্রমের সাথে জড়িত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় অপপ্রচার ও গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে। বক্তারা বিপ্লব দাশকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি প্রদানে দাবী জানিয়েছেন।