• সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রুমায় সেনাবাহিনীর সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত – ৩ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার সেনা জোন কর্তৃক অসহায় গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের বই বিতরণ বান্দরবানে সেনা অভিযানে কুকিচিন ন্যাশনাল আর্মি’র ৩ সদস্য নিহত, অস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার লামা বাজার পুকুর সংষ্কার কাজ পুণরায় চালু দাবীতে মানববন্ধন  কাপ্তাই থানা পুলিশ এর অভিযানে ৫ লিটার দেশীয় তৈরি চোলাই মদ সহ একজন আটক: মোটরসাইকেল জব্দ রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের নব নিযুক্ত সদস্য মিনহাজ মুরশীদ ও হাবীব আজমকে লংগদুবাসীর সংবর্ধনা কাপ্তাই বিএসপিআই এ ছাত্রদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত ধর্মের ভিত্তিতে কোন ধরনের বিভাজন দেখতে চায়না জামায়াত: রামগড়ে অধ্যক্ষ আমিরুজ্জামান কাপ্তাইয়ে রুপসী কাপ্তাইয়ের ৪০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে নানা আয়োজন খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট এর শুভ উদ্বোধন করলেন – ২০৩ পদাতিক খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান খাগড়াছড়ি বাইতুশ শরফ জব্বারিয়া আদর্শ আলিম মাদ্রাসায়  অভিভাবক সম্মেলন অনুষ্ঠিত মহালছড়ি উপজেলা বাজারে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করেছে বিশেষ টাস্কফোর্স কমিটি

ভারতে রসূলকে নিয়ে কটুক্তিকারীর মৃত্যুদণ্ড ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার: / ১০১ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪

 

ভারতে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লামকে নিয়ে কটুক্তি করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ এবং বাংলাদেশে অখন্ড ভারতের প্রতিক গেরুয়া পতাকা ও স্বৈরাচারের সহযোগী হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে সাধারণ মুসলিম সমাজ চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দ।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) চট্টগ্রাম শাহ আমানত ব্রীজের সামনে সাধারণ মুসলিম সমাজের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তারা তাদের এসব বাস্তবায়নের দাবী উপস্থাপন করেন।

সমাবেশে মোহাম্মদ ইবনে দেলোয়ার হোসেন বলেন, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ভারতে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে কটূক্তি করা হয়। কটুক্তিকারী হিন্দুত্ববাদী পুরোহিত রামগিরি ও তার সমর্থক এবং সরকারি দল বিজেপির হিন্দুত্ববাদী সাংসদ নিতেশ রানে এই দুজনকে শাস্তিস্বরূপ মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। এবং বাংলাদেশের সংবিধানে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম এর কটুক্তিকারীদের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে আইন পাশ করতে হবে।

উক্ত সমাবেশে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের অলোচনায় মুসলিম নাগরিক অধিকার মজলিসের আহবায়ক মো. ওছিউল হুদা প্রশ্ন তুলে বলেন, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বিরোধী অখণ্ড ভারতের প্রতিক গেরুয়া পতাকা শহীদ মিনারে উত্তোলন হল কেন?

বিশেষ ভাবে উল্লেখ করেন, আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার প্রতীকসমূহের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে জাতীয় শহীদ মিনার। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো, কিছু দিন আগে সার্বভৌমত্বের চিহ্ন শহীদ মিনারে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে যারা অখণ্ড ভারতে বিশ্বাসী।

শুধু তাই নই, এই উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা অখণ্ড ভারতের প্রতীক গেরুয়া পতাকা যা সরাসরি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের সাথে সাংঘার্ষিক এমন পতাকাই উত্তোলিত করেছে জাতীয় শহীদ মিনারে।

এছাড়াও চিশায় দাস, গোপীনাথ দাসের মতো তিলককাটা গেরুয়া পোশাকধারী উগ্র হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা সরাসরি শহীদ মিনারের পাদদেশে দাঁড়িয়ে এদেশের মুসলমানদের চোখ তুলে নেয়ার, হাত কেটে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে, যার ভিডিও ফেসবুক ইন্টারনেটের মাধ্যমে গোটা দেশবাসী নিজ চোখে দেখেছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় বলেছেন, রিসেট বাটন নাকি পুশ করা হয়েছে। কিন্তু এখনও আমরা দেখতে পাচ্ছি, সরকার একদিকে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীদের সংখ্যালঘু ভিকটিম কার্ডের ছুতোয় অবাধ দায়মুক্তি দিচ্ছে উল্টোদিকে পান থেকে চুন খসলে ফের সেই পতিত স্বৈরাচারের ন্যায় মুসলমানদের উপর জুলুম অব্যহত রেখেছে।

শহীদ মিনারে চোখ তুলে নেয়ার হুমকি দেয়া উগ্র হিন্দুত্ববাদী দাস-নমোশুদ্র চিন্ময়-গোপী গংদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে নতুবা প্রমাণিত হবে যে, এই সরকার পতিত আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় সংস্করণ মাত্র। রিসেট বাটনের বুলি সেক্ষেত্রে অন্তঃসারশূন্য বলে গণ্য হবে।

এছাড়াও স্বৈরাচারের সহযোগী ‘হিন্দু বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, ঐক্য পরিষদ’কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। এদেশের মুসলমানদের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে সক্রিয় সংগঠন, পতিত স্বৈরাচারের প্রধান সহযোগী ‘হিন্দু বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, ঐক্য পরিষদ’ যার জন্মই হয়েছে কেবলমাত্র এদেশের সাংবিধানিক ধর্ম রাষ্ট্রধর্ম দ্বীন ইসলামের বিরোধিতা করার লক্ষ্যে।

এই অভিশপ্ত ঐক্য পরিষদ স্বৈরাচারী সরকার পতনের আগমুহূর্তে প্রেসরিলিজে আন্দোলনরত ছাত্রজনতার বিরুদ্ধে স্বৈরাচারকে আহবান করেছিল ‘ভবিষ্যতে তারা যাতে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত কোনো প্রতিষ্ঠানে; এমনকি সেনাবাহিনীতেও চাকরি করতে না পারে সে পদক্ষেপ নিতে হবে।”

এমন বক্তব্য দেওয়ার পরেও কেন সরকার এই সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করছে না, এই সংগঠনের মূল হোতা রানা দাশ গংদের গ্রেফতার করছে না?

আমরা জানি, জার্মানির নাৎসি সরকার পতনের পর ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালে এই পরিষদের তুলনায় অনেক কম হেট স্পীচ দানকারীকেও মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশে সংখ্যালঘু ভিকটিম কার্ডের ছুতোয় গণহত্যার দোসর এই ‘হিন্দু বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, ঐক্য পরিষদ’কে বহাল তবিয়তে রাখা হয়েছে যা পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য বললেও কম হবে।

অবিলম্বে এই অভিশপ্ত ঐক্য পরিষদকে নিষিদ্ধ করার হোক। এবং গণহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অপরাধে এর নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হোক।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ