‘সাইয়্যিদুল আ’ইয়্যাদ শরীফ’ পবিত্র ঈদে মিলাদুন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-১৪৪৬ হিজরী উদযাপন উপলক্ষে ভারতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাঙ্গামাটি শহরের পর্যটন এলাকা দেওয়ানপাড়া মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ হিফজুল কোরআন মাদরাসা কমিটির উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি পর্যটন এলাকা দেওয়ানপাড়া মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ মাদরাসার মুহতামিম ও হাজী ধনমিয়া জামে মসজিদের খতিব আল্লামা মুহম্মদ আব্দুল বাসিত খান ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালিন, ইমামুল মুরসালিন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের প্রাণের চেয়ে প্রিয়। উনাকে মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন সারা জগতের রহমত বানিয়ে পাঠিয়েছেন। সুতরাং রহমতের নবীর প্রতি উম্মতের দায়িত্ব কর্তব্য হলো অন্তরের অন্তস্থল থেকে ভালোবাসা। সেই ভালোবাসা যেন আর সব ভালোবাসার ঊর্ধ্বে হয়। এমনকি জান ও প্রাণের চেয়ে যেন তিনি প্রিয় হন। ভালোবাসা যেন এমন তীব্র হয় আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য হাজারবার জান কোরবান দিতে দ্বিধা না থাকে।
তিনি আরও বলেন, নবীজিকে ভালোবাসা ঈমানের আলামত। খোদ আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মোবারক করেন, তোমাদের কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার হতে পারবে না যতক্ষণ না তার কাছে আমি তার পিতামাতার চেয়ে, সন্তানাদির চেয়ে, মাল সম্পদের চেয়ে, এমনকি তার প্রাণের চেয়েও প্রিয় না হবো। মুমিনের জন্য ভালোবাসার মূল কেন্দ্র স্বয়ং আল্লাহ পাক ও উনার প্রিয়তম রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আর বাকি দুনিয়ার যতো প্রেমময় মানুষ আছে, যতরকমের ভালোলাগার জিনিস আছে সবকিছুর অবস্থান দ্বিতীয়তে।
সম্প্রতি ভারতীয় পুরোহিত কর্তৃক আমাদের প্রাণপ্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে অবমাননাকর কটুক্তি ও ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত ও বিজেপি নেতার সমর্থনের প্রতিবাদে নিন্দা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ধর্মীয় সম্প্রীতির বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলিম একসঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করলেও বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা ঘটলেই ভারত উসকানি দেয়। তারা অপপ্রচার চালায়, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নেই। অথচ ভারতে সংখ্যালঘু মুসলমানেরা প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হয়ে আসছেন। স্বাধীনভাবে তাঁরা ধর্ম পালন করতে পারেন না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে কটূক্তির জন্য ভারতকে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। এদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হলেও এখনো রাজ্য সরকার তাঁদের গ্রেপ্তার করেনি।
আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে এই দুই কুলাঙ্গারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। অবমাননাকারীদের দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কার্যকর করা হোক।