খাগড়াছড়ি : শ্রেণিকক্ষে প্রশ্নের উত্তর লিখতে দেরী
দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে মাটিরাঙ্গা রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের সহকারী শিক্ষক মো. মাকসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
বিকালের দিকে আহত দুই শিক্ষার্থীকে মাটিরাঙা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে, দুপুরের দিকে মাটিরাঙা রেসিডেন্সিয়াল স্কুলে এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষার্থী জহিরুল আলম জীবন (১৪)
মাটিরাঙা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কাঠাল বাগান এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে। আর কানিজ ফাতেমা বৃষ্টি একই ওয়ার্ডের চক্রপাড়ার বাসিন্দা এমাদুল হকের মেয়ে। তারা দুজনই মাটিরাঙা রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
জানা যায়, ৬ষ্ট ঘন্টার ধর্ম শিক্ষার ক্লাস নেন ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক মো. মাকসুদুর রহমান। বাড়ির কাজের দুইটি প্রশ্নের উত্তর লিখে দিতে সকল শিক্ষার্থীদের তাগিদ দেন তিনি। জহিরুল আলম একটি প্রশ্নের জবাব লিখলেও অন্যটি লিখতে তার সহপাঠীর কাছ থেকে দেখে লিখতে গিয়ে স্যার বিষয়টি দেখে ফেলায় জহিরুলকে অতর্কিতভাবে কিল ঘুষি মারেন। ফলে জহিরুল আলম চিৎকার করে তাৎক্ষণিক ভাবে তার কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলে। একই সময়ে সম্পূর্ণ পড়া দিতে না পারার অপরাধে কানিজ ফাতেমা বৃষ্টির শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেত্রাঘাত করে। পরে আহত অবস্থায় সহপাঠীরা উভয়কে মাটিরাঙ্গা হাসপাতালে নিয়া আসেন।
শিক্ষার্থী কানিজ ফাতেমা বৃষ্টি জানান, আমি স্যারের পড়া লিখতেছিলাম এ অবস্থায় স্যার আমাকে বিনা কারণে বেত দিয়ে মারধর করে। আমার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
শিক্ষার্থী জহিরুল আলমের বড় ভাই নুরুল আলম জুয়েল বলেন, ওই শিক্ষক আমার ভাইকে অমানবিক নির্যাতন করছে। তিনি এর আগেও শিক্ষার্থীদের মারধর করতেন। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনেররও দাবি জানান তিনি।
মাটিরাঙ্গা রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবছার হোসেন বলেন, আমি অফিশিয়াল কাজে স্কুলের বাহিরে ছিলাম। মারের ঘটনা অবগত হয়ে দ্রুত হাসপাতালে ছুটে আসি। অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত ডা. পিয়সা বড়ুয়া জানান, দুজন শিক্ষার্থীকে হাসাপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাদের শরিরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
মাটিরাঙা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। মাটিরাঙ্গায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আলম বলেন, বিষয়টি জানার পর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি দেখতে বলেছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।