করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধি-নিষেধ তুলে নেওয়ায় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আজ বুধবার (১১ আগস্ট) চালু হয়েছে দূরপাল্লার গণপরিবহন। সেই সাথে খুলে দেওয়া হয়েছে সব অফিস-আদালত, হোটেল-রেস্টুরেন্ট।
সব কিছু খুলে দেওয়ায় অতিরিক্ত যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকাতে। এই মুহূর্তে নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় সাত শতাধিক যানবাহন। এরমধ্যে পণ্যবাহী ট্রাকই রয়েছে প্রায় সাড়ে ৬ শতাধিক। আর দূর পাল্লার বাসের সংখ্যা ৫০ এর মতো।
বুধবার (১১ আগস্ট) বেলা ১১ টার দিকে সরেজমিন দৌলতদিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, নদী পারের জন্য ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দুই কিলোমিটার দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত অপেক্ষা করছে প্রায় দুই শতাধিক যানবাহন। এরমধ্যে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যাই বেশি। দূরপাল্লার বাসের সংখ্যা কম। তবে ব্যক্তিগত গাড়ীর তেমন কোন চাপই নেই। সরাসরি ফেরিতে উঠে যাচ্ছে ব্যক্তিগত গাড়ী
অপরদিকে দৌলতদিয়া-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের রাজবাড়ীর দিকে প্রায় ৫ কিলোমিটার সড়কে প্রায় ৫ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক নদী পারের জন্য অপেক্ষা করছে। তবে এ সকল ট্রাক চালকদের ৭-৮ ঘন্টা ধরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে নদী পারের জন্য।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহক কর্তৃপক্ষ (বিআইিব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ফেরিঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দীন বলেন, বিধি-নিষেধ তুলে নেওয়ার কারণে আজ থেকে গণপরিবহন চলছে। তাছাড়া শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ফেরি চলাচলে সীমিত করায় এই ঘাটে চাপ বেড়েছে। এ সকল যাত্রী ও যানবাহনগুলোকে নদী পার করানোর জন্য দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ছোট-বড় ১৫টি ফেরি রয়েছে। এরমধ্যে ১৩ টি চলাচল করছে। বাকি দুটি মেরামত কারখানাতে রয়েছে।
অপরদিকে এই নৌরুটে ১৮ টি লঞ্চ চলাচল করবে বলেও জানা গেছে।