ছোটন বিশ্বাস, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি।।
মহালছড়িতে যন্ত্রনাথ কার্বারিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বন্যার্ত শত শত মানুষ চিকিৎসাসেবা নেওয়ার জন্য ভিড় করছেন। পেটব্যথা, পাতলা পায়খানা, সর্দি-কাশি, মাথাব্যথা ও কাটাছেঁড়ার মতো জটিলতা নিয়ে তাঁরা চিকিৎসার জন্য এসেছেন।
পাকুজ্বাছড়ি এলাকার মো. লাকি আক্তার (৩৮) চিকিৎসক দেখানোর অপেক্ষায় আছেন। তিনি বলেন, দুই দিন ধরে মাথাব্যথা ও জ্বরে ভুগছেন। বমি হওয়ার পাশাপাশি তাঁর খাওয়ার রুচি নেই।
যন্ত্রনাথ পাড়া এলাকার সুমঙ্গল চাকমা (৭২) বলেন, পাঁচ দিন ধরে সর্দি-কাশি ও জ্বরে ভুগছেন তিনি। বন্যায় ফার্মেসি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এত দিন চিকিৎসা ও ওষুধ নিতে পারেননি।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে যন্ত্রনাথ কার্বারিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে সেখানে তিনটি বুথ করা হয়েছে। একটিতে চিকিৎসা নিতে আসা বন্যার্ত মানুষদের নিবন্ধন করা হচ্ছে। দ্বিতীয় বুথটিতে তিনজন চিকিৎসক রোগী দেখছেন। আর তৃতীয় বুথটি থেকে ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী রোগীদের ওষুধপথ্য দেওয়া হচ্ছে।
“শুনতে কি পা-ও ” এই সংগঠনটি এই চিকিৎসা ক্যাম্পের আয়োজন করেছে। সেখানে নারী ও পুরুষের জন্য দুটি পৃথক সারি করা হয়েছে। দুপুর ১২টার দিকে নিবন্ধন ও চিকিৎসক দেখানোর অপেক্ষায় ছিলেন প্রায় দুইশ বন্যার্ত মানুষ। সকাল থেকে এক শতাধিক মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে বলে জানান দায়িত্বরত ব্যক্তিরা।
সংগঠন টির প্রচার সম্পাদক মোঃনুরুন্নবী জুয়েল প্রথম আলোকে বলেন, চিকিৎসা ক্যাম্পের শৃঙ্খলা রক্ষার আমাদের সংগঠনের লোকজন দায়িত্ব পালন করছেন। শুক্রবারও আমাদের সংগঠন থেকে মহালছড়িতে ৪৮০ জনকে বিনামূল্যে ওষুধ ও চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে।
চিকিৎসক মনির আহম্মদ রানা বলেন, চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ—সবই বিনা মূল্যে দেওয়া হচ্ছে। বেশির ভাগ রোগী পেটব্যথা, পাতলা পায়খানা, সর্দি-কাশি, মাথাব্যথা, কাটাছেঁড়া—এসব সমস্যা নিয়ে আসছেন। তবে শিশুদের অনেকেই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত।