• শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম
কাপ্তাইয়ে শ্রেষ্ঠ কাব শিক্ষক ফেরদৌস আক্তার কাপ্তাইয়ে শ্রেষ্ঠ সহকারী  শিক্ষিকা  মোসামৎ কামরুন নাহার বেগম কাপ্তাইয়ে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত  মহেশখালীতে ডিজিটাল কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে শিক্ষার্থীদের মাঝে সার্টিফিকেট বিতরণ নানিয়ারচরে কার্প জাতীয় মাছের মিশ্রচাষে রিফ্রেশার্স প্রশিক্ষণ কাপ্তাইয়ে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক মো: মাহবুবে ইলাহী কাপ্তাইয়ে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষিকা মুন্না দে কাপ্তাইয়ে সনাতন যুব পরিষদের উপজেলা কমিটি গঠন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত  খাগড়াছড়িতে বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপন র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত  নিখোঁজ এর ৪৫ ঘন্টা পর গৃহবধূ মৌমিতা তনচংগ্যার লাশ পাওয়া গেলে ওয়াগ্গাছড়া খালে বাঘাইহাট জোনের উদ্যোগে ৪শতাধিক মানুষের মাঝে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ প্রতিটি মন্দিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে: (ইউএনও) মোঃ মহিউদ্দিন

বাগেরহাটে বেআইনীভাবে প্রস্তুত হচ্ছে শামুকের খোলস পুড়িয়ে চুন

আরিফুল ইসলাম রিয়াজ, মোল্লাহাট, বাগেরহাট: / ১৩৫ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : শনিবার, ১৫ জুন, ২০২৪

আরিফুল ইসলাম রিয়াজ, মোল্লাহাট, বাগেরহাট: বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার দুর্গাপুর এলাকায় পরিবেশবান্ধব শামুকের খোলস পুড়িয়ে রাতভর তৈরি করা হয় চুন। আর এ চুন তৈরি করতে প্রতিদিন জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে শত শত মণ কাঠ। নির্বিচারে নিধন চলছে গাছ।

বাগেরহাটে বছরের পর বছর ধরে বেআইনীভাবে প্রস্তুত করা হচ্ছে শামুকের খোলস পুড়িয়ে চুন। চুন তৈরীর কারনে যেমন পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে তেমনি জীব বৈচিত্রের ধ্বংসের পাশাপাশি তীব্র হচ্ছে বায়ু দূষন। বাতাসে তীব্র গন্ধের কারনে যেন দম বন্ধ হয়ে আসছে। এর প্রভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। দীর্ঘ বছর ধরে এ বে-আইনী কার্যক্রম চলমান থাকলেও দেখার কেউ নাই। সরেজমিন আরো দেখা গেছে, বাগেরহাটসহ বাইরের বিভিন্ন স্থান থেকে শামুকের খোলস সংগ্রহ করে এনে পুড়িয়ে অস্বাস্থ্যকরভাবে তৈরি হচ্ছে চুন। বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে শম্ভু সূত্রধরের রয়েছে শামুকের খোলস পোড়ানো কারখানা। অপরিচ্ছন্ন দুর্গন্ধযুক্ত খোলস মাসের পর মাস রাস্তার পার্শে গাদা মেরে রেখে সারা বছর পোড়ানো হয়। দুর্গন্ধযুক্ত ধোঁয়ায় দূষিত হয় এলাকা।  ২০০৯ সাল থেকে চলছে এ কাজ। কারখানার আশপাশের বসতবাড়ির লোকেরা জানায়, প্রতিদিন রাতেই চুন পোড়ানো হয়। যখন বড় ইলেট্রিক ফ্যান দিয়ে চুল্লিতে আগুন দেওয়া হয়, তখন চারদিক ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে যায়। বাতাসের তীব্র গন্ধে আস্তে আস্তে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। চোখ জ্বালা-পোড়া করে। শিশু ও বয়স্করা কাশিতে ভোগেন। চুল্লির চারপাশের প্রায় দু’কিলোমিটার এলাকার মানুষের রাতে ঘুমানোই কঠিন হয়ে ওঠে। দুর্গন্ধে প্রতিনিয়ত পত্যেকটি বাড়ির লোকেরা অসুস্থ থাকে।শম্ভু সূত্রধর জানান, তাঁর ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স রয়েছে। এছাড়া আর কোন কাগজপত্র আমার কাছে নাই। দীর্ঘ বছর চুন প্রস্তুত করেছি কোন সমস্য হয় নাই। একাধিক বার পরিবেশের ছাড়পত্রের আবেদন করলেও তা পাইনি। তিনি বলেন, আমার চুন বাগেরহাট, বরিশাল, ঝালকাঠিসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়।বাগেরহাট জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান সরকার জানান, বাগেরহাটে চুণ প্রস্তুতের জন্য মোল্লাহাট ও ফকিরহাট দুইটি কারখানার অনুমনি দেওয়া আছে। বাকি কেউ করে থাকলে তা সম্পূর্ন বেআইনী। কাঠ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করার কোন অনুমতি নাই। এ ধরনের বে-আইনী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে তিনি জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ