আব্দুল মান্নান, স্টাফ রিপোর্টার, খাগড়াছড়ি:
১৭জুন ঈদুল আজহা। ফলে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় দুইটি বড় গরু বাজারে কোরবানির বেচাকেনা জমে উঠেছে। সমতলে পাহাড়ের লাল ষাঁড় ও বলদ গরুর চাহিদা হওয়ায় এসব গরুর প্রতি নজর বেশি ব্যবসায়ীদের। উপজেলায় ছোট, মাঝারি ও বড় দেড়শ খামারে আড়াই হাজার গরু,ছাগলের পাশাপাশি পারিবারিক পর্যায়ে আরও সহস্রাধিক গরু কোরবান উপযোগী।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী এ বছর উপজেলার ছোট,মাঝারী ও বড় ১৫০ খামারে ২৬১০ টি গরু,ছাগল কোরবান উপযোগী। এছাড়াও কৃষি নির্ভর জনপদে প্রান্তিক কৃষকের গোয়ালে (ঘরে) আরও সহস্রাধিক গরু বিক্রি উপযোগী রয়েছে।
৮ জুন শনিবার উপজেলার মহামুনিস্থ হেডম্যান কার্যালয় মাঠে কোরবানি হাটে গিয়ে দেখা গেছে, বাজারে অন্তত দুই সহস্রাধি ছোট ও মাঝারি গরু উঠেছে। সকাল বেলা বিক্রি কিছুটা কম হলেও বিকেলে বিক্রি বেড়েছে! সমতলের ব্যবসায়ীরা ক্রেতার চাহিদা মাফিক লাল ষাঁড় ও বলদ কিনে নিচ্ছে। তবে স্থানীয় পর্যায়ে গরু বেচাকেনা একেবারে কম।
বাজার ইজারাদার ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, পাহাড়ের প্রাকৃতিক খাবার নির্ভর গরুর চাহিদা সমতলে বেশি! ফলে সমতলের ব্যবসায়ীরা গরু কিনতে বাজারে আসছে। আগামী মঙ্গলবার ও শনিবারে বেচাকেনা বাড়বে।
তিনি আরও জানান, আজকের(গতকাল) বাজারে সর্ব্বোচ্চ বড় গরু ১লাখ ৯০ হাজার টাকায় কিনেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন। এছাড়াও এ বাজারে আজ( গতকাল) প্রায় তিনশতাধিক গরু বেচাকেনা হয়েছে।
তিনটহরী গরু বাজার ইজারাদারের একজন মো. মিজানুর রহমান বলেন, কোরবানকে ঘিরে এ বাজারে আগামী কাল রোববার ও আগামী বুধবার শেষ বেচাকেনায় জমজমাট হাট বসবে।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা বলেন, এবার উপজেলার দেড়শ খামারে আড়াই হাজারের অধিক পশু কোরবানি উপযোগী। এছাড়াও কৃষেকর ঘরে দু’একটি করে আরও সহস্রাধিক কোরবান উপযোগী কিছু গরু,ছাগল রয়েছে। আগামী রোববার, মঙ্গলবার, বুধবার ও শনিবারে কোরবানির হাট জমে উঠবে। আমরা (প্রাণী সম্পদ অফিস) নিয়মিত খামার ও কোরবানির হাট মনিটরিংসহ রোগমুক্ত গরু বাজারজাতে নজরদারি বাড়িয়েছি। এখানকার প্রাকৃতিক সবুজ ঘাসে বেড়ে উঠা সুঠাম গরু সমতলে চাহিদা বেশি হওয়ায় কোরবানির গরু নিয়ে বিক্রেতাদের চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।