মোঃ ইমরান হোসেন হৃদয়, শার্শা
যশোরের শার্শা মানুষের মুখে মুখে উদ্ভাবক মিজানের “ফ্রি খাবার বাড়ী ক্ষুধা লাগলে খেয়ে জান” এমন অভিনব শ্লোগান দিয়ে যশোরের শার্শায় পরিচালিত হচ্ছে একটি “ফ্রি খাবার বাড়ি”। পাগল, ভিক্ষুক, গরীব অসহায়, ছিন্নমূল পথ শিশু ও এতিম শিশুদের মাঝে এখানে তিনবেলা খাওয়ার জন্য ফ্রি খাবার বাড়িটি গড়ে তুলেছেন শার্শার কৃতি সন্তান দেশ সেরা উদ্ভাবক মিজানুর রহমান। দিন পরিবর্তনের পাশাপাশি উদ্ভাবক মিজানের ফ্রি খাবার বাড়িটি ছড়িয়ে পড়েছে মানুষের মুখে মুখে।
শুক্রবার ১ সেপ্টেম্বর সরেজমিনে তথ্য অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় আজও চলছে রান্নাবান্নার কাজ। এভাবে প্রতিদিনই চলে পাগল, ভিক্ষুক, গরীব অসহায়, ছিন্নমূল পথ শিশু ও এতিম শিশুদের জন্য খাবার আয়োজন।
সপ্তাহের শুক্রবার বিশেষ আয়োজন ছাড়াও প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে শিশু সহ সব বয়সী নারী পুরুষ খেতে আসে উদ্ভাবক মিজানের ফ্রি খাবার বাড়িতে।
২০১৮ সাল থেকে উদ্ভাবক মিজান গড়ে তুলেছেন এই ফ্রি খাবার বাড়িটি। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে এভাবে অসহায়ের মুখে তিনবেলা খাওয়ার তুলে দিচ্ছেন তিনি। প্রথম অবস্থায় স্বল্প পরিসরে খাওয়া দাওয়ার কার্যক্রম চললেও আজ উদ্ভাবক মিজানের ফ্রি খাবার বাড়ি ব্যাপক পরিসরে ছড়িয়ে পড়েছে। তিন বেলা এখানে ফ্রিতে খাবার পেয়ে বেজায় খুশি খেতে আসা অসহায় মানুষ গুলো।
শুধু তাই নয়। শার্শার শ্যামলাগাছীতে উদ্ভাবক মিজানের ফ্রি খাবার বাড়ির পাশাপাশি গড়ে তুলেছেন হযরত শাহজালাল (রাহ:) মডেল মাদরাসা ও এতিমখানা। যেখানে ফ্রিতে থাকা খাওয়ার পাশাপাশি কোরআন শিক্ষা করেন কোমলমতি এতিম ও ছিন্নমূল পথ শিশুরা।
দেশ সেরা উদ্ভাবক মিজানুর রহমান বলেন, খামার বাড়ি মহামারী করণাকালীন সময় থেকে চলমান আছে।আজীবন ধরে রাখতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। শুধু একজন মিজানের পক্ষে সম্ভব নয়। এভাবে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
আমার এই খাবার বাড়ির পাশাপাশি বড় একটি মাদ্রাসা ও এতিমখানা সম্পূর্ণ ফ্রিতে চলে- কোন বেতন নেওয়া হয় না। অসহায় অভাবী এতিম শিশু তাদেরকে পড়ানো হয়।সবাই যদি এগিয়ে আসেন তাহলে আমরা দেশ ও দেশের বাইরেও একদিন মানবতার দৃষ্টান্ত রাখতে পারব।
তাই শুধু একজন মিজানুর রহমান নয়, দেশের প্রতিটি জেলা উপজেলাতে একজন করে এমন মিজানুর রহমান তৈরি হলে কোন মানুষ ক্ষুধার্ত থাকবেনা এমনটাই মনে করেন সচেতন মহল।