মোঃ ইমরান হোসেন হৃদয়,শার্শা (যশোর)
যশোরের শার্শায় মসজিদে সিলিং ফ্যান ও মশার কয়েল জালানোকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন শাহারুল ইসলাম (৪৫) কে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ ওঠেছে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮ টার সময় শার্শা উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের গাজীর কায়বা গ্রামের উত্তর পাড়া জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় ওই মুয়াজ্জিনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত শাহারুল ইসলাম উপজেলার গাজীর কায়বা গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে। তিনি গাজীর কায়বা উত্তর পাড়া জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অভিযুক্তরা হলেন, একই গ্রামের মৃত ইসমাইল সরদারের ছেলে আনারুল ইসলাম, ও তার ছেলে মেহেদী হাসান,সাঈদী হাসান, এবং চাচাতো ভাই সিরাজুল ইসলাম।
ভুক্তভোগী শাহারুল ইসলাম জানায়, মৃত ইসমাইল সরদারের ছেলে আনারুল ইসলাম পেশায় একজন স্কুল মাস্টার। তিনি হিজদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন। এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় এমন নেক্কারজনক ঘটনা ঘটালেও ভয়ে কেউ কিছু বলার সাহস পাচ্ছে না।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার মাগরিবের নামাজ শেষে মুসুল্লিরা সবাই চলে গেলেও অভিযুক্ত আনারুল ইসলাম মসজিদে সিলিং ফ্যান, লাইট, ও মশার কয়েল জ্বালিয়ে বসে ছিলো। এসময় মুয়াজ্জিন সিলিং ফ্যান ও গ্লোব জ্বালাতে নিষেধ করলে, এনিয়ে দুজনের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। পরবর্তিতে এশার নামাজের পরে পরিকল্পিতভাবে আনোয়ারুল ও তার ছেলে, ভাই, এবং চাচাতো ভাইদের নেতৃত্বে ৮ /১০ জন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মুয়াজ্জিন শাহারুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে ফেলে রেখে চলে যায়।
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মোঃ সিদ্দিকুর রহমান জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টার সময় আহত অবস্থায় একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার মাথায় ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে। এবিষয়ে শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম আকিকুল ইসলাম জানান, মসজিদের মুয়াজ্জিনকে মারধরের ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।