মুন্সিগঞ্জে পদ্মার শাখা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় পিকনিকের ট্রলার ডুবির ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বাল্কহেডটি এরই মধ্যে জব্দ করেছে পুলিশ। তবে এর চালক পলাতক।
এঘটনায় এখন পর্যন্ত ৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন ৪ জন। লৌহজং ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার কায়েশ উদ্দিন মরদেহ উদ্ধার ও নিখোঁজদের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন দুই বোন পপি আক্তার (২৬) ও হ্যাপি আক্তার (২৮), দুই ভাই সাকিব (৮) ও রাকিব (১২), মোকসেদা (৪০), সাজিবুল (৫) এবং ফারিহান (১০)। বাকি একজনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক আবুজাফর রিপন বলেন, এ ঘটনায় ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিকে আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
হতাহতদের পরিবারগুলোকে ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা করা হবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।
মুন্সিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান বলেন, বাল্কহেডটি নিয়ম বহির্ভূতভাবে পদ্মার শাখা নদীতে অবস্থান করছিল। বাল্কহেডটি এরই মধ্যে জব্দ করা হয়েছে। তবে এর চালক এখনও পলাতক।
হতাহতদের স্বজনেরা বলছেন, শনিবার সকালে সিরাজদীখান থেকে এই ট্রলারে করে পদ্মা সেতু দেখতে গিয়েছিলেন রসকাঠি গ্রামের কয়েকটি পরিবার। ফেরার পথে ঘটে এই দুর্ঘটনা।