ঝালকাঠির সদর উপজেলার ছত্রকান্দা এলাকায় বরিশাল-খুলনা মহাসড়কে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৭ যাত্রীর মধ্যে ১৬ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে স্বজনরা শনাক্তের পর মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শনিবার (২২ জুলাই) রাতে ঝালকাঠির পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই দিন সকাল সাড়ে ৯টায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, বরিশালের হাটখোলা এলাকার কবির মোল্লার স্ত্রী পারভীন আক্তার (৫৩)। রাজাপুর উপজেলার নিজামিয়া গ্রামের মৃত মাওলানা নজরুল ইসলামের স্ত্রী খাদিজা বেগম (৪৩), তার মেয়ে খুশবো আক্তার (১৭)। ভাণ্ডারিয়া পৌর এলাকার পান্না মিয়ার ছেলে তারেক রহমান (৪৫), একই এলাকার মুজাফফর আলীর ছেলে সালাম মোল্লা (৬০)। ভাণ্ডারিয়া পৌরসভার মৃত সালাম মোল্লার ছেলে শাহীন মোল্লা (২৫), ভাণ্ডারিয়ার পশারিবুনিয়া এলাকার জালাল হাওলাদারের মেয়ে সুমাইয়া (৬)। বাকেরগঞ্জের চর বোয়ালিয়া এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আবদুল্লাহ (৮), ভাণ্ডারিয়া রিজার্ভ পুকুর পাড় এলাকার মৃত লাল মিয়ার স্ত্রী রহিমা বেগম (৬০), মৃত লাল মিয়া হাওলাদারের ছেলে আবুল কালাম হাওলাদার, মেহেন্দিগঞ্জের মোর রিপনের মেয়ে নিপা মনি (১), তার মা আইরিন আক্তার (২২), রাজাপুরের বলাইবাড়ি এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে নয়ন (১৬), ভাণ্ডারিয়ার উত্তর শিয়ালকাঠি এলাকার মৃত ফজলুল হক মৃধার স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৮০)। কাঠালিয়ার বাঁশবুনিয়া এলাকার তৈয়বুর রহমানের মেয়ে সালমা আক্তার মিতা (৪২), তেলিখালি এলাকার রাসেল সিকদারের স্ত্রী সাবিহা আক্তার (২৪), কাঠালিয়া উপজেলার দক্ষিণ কৈখালি গ্রামের ফারুক তালুকদার (৫০)।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক ফিরোজ কুতুবী জানান, বিষয়টি জানার পর ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় উদ্ধার অভিযান শুরু করে। এখন পর্যন্ত ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৩০ জনকে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা শঙ্কাজনক।
পুলিশ সুপার মোহম্মদ আফরুজুল হক টুটুল জানান, ঝালকাঠির বাস দুর্ঘটনা নিহতদের মরদেহ দাফন কাফনের জন্য আইজিপি স্যার এক লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। ইতোমধ্যে নিহতের মরদেহ শনাক্ত করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আহতদের ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম জানান, আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত করে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাম্মদ মামুন শিবলীকে প্রধান করা হয়েছে।
পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/এমএস